বাবরুল হাসান বাবলু, তাহিরপুর
তাহিরপুরে ভারী বৃষ্টি কিছুটা থামলেও কমেনি হাওরের পানি। পানি না কমায় এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে তাহিরপুরের অর্ধ শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। কারো উঠোনে পানি, কারো ঘরের ভেতর পানি। এ অবস্থাতেই দিন পার করছেন হাওরপারের বন্যা কবলিত লোকজন। যাদের ঘরে বা বাড়িতে পানি উঠেছে তারা পাশের বাড়ির আত্মীয় স্বজনদের ঘরে উঠেছেন। কোন কোন পরিবার আবার ইট কাট দিয়ে একটু উচু করে মাচা করে কোন রকম বাড়িতে আছেন। দু’এক দিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে হয়তো আর বন্যাশ্রয় কেন্দ্রে যেতে হবে না তাদের।
বাদাঘাট ইউনিয়নের পাতারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সজল কুমার বর্মন। তার বাড়ি মধ্য তাহিরপুর খলা হাটি বৌলাই নদীর পারে। তিনি জানালেন গত তিন দিন থেকে তার ঘরে পানি উঠেছে। এখনো তিনি পানিবন্দী অবস্থায় আছেন। পানি আর একটু বাড়লে তাকেও আশ্রয় কেন্দ্রে উটতে হবে।
সরজমিন উপজেলার বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখা যায়, এখনো পাহাড়ী নদী জাদুকাটা দিয়ে প্রবল বেগে পানি নামছে। মেঘালয় পাহাড়ে বৃষ্টি কম থাকায় সীমান্ত এলাকায় কিছুটা পানি কমলেও হাওরর দিকে পানি বাড়াছে। আর জাদুকাটার এ ঢলের পানি প্রবাহিত হচ্ছে কোন কোন গ্রামের উপর কিংবা রাস্তা ঘাটের উপর দিয়ে। ফলে নতুন করে হাওর এলাকার গ্রামগুলা প্লাবিত হচ্ছে। পানি বন্ধি অবস্থায় রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন এলাকা।
যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জেলা সদর কিংবা উপজেলা সদরে বিচ্ছিন্ন ভাবে অটোরিক্সা, নৌকা কিংবা সিএনজি করে ভেঙে ভেঙে লোকজন একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাতায়াত করছেন এবং প্রয়েজনীয় কাজ কর্ম সারছেন।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭ টি ইউনিয়নে ৩৪ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০ টির মত পরিবারের ৫ শতাধিক লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন।
বালিজুরী ইউনিয় পরিষদ চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন বলেন, পাহাড়ি ঢলের পানিতে বালিজুরী ইউনিয়নের বেশী গ্রাম প্লাবিত হয়। এখনো বালিজুরী ইউনিয়নের ১০ টি গ্রামের মানুষ পানি বন্ধি অবস্থায় রযেছে।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মির্জা রিয়াদ হাসান জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলাকা পানি বন্ধি অবস্থায় রয়েছে।