স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ শুক্রবার (২৭জানুয়ারি) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের নবম আসরে সিলেট ভেন্যুর খেলা শুরু হবে। বিপিএলকে কেন্দ্র করে ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। তবে সেই আনন্দ অনেকের কাছে মলিন হয়ে যাচ্ছে। কারণ চাহিদা অনুযায়ী কাউন্টারে মিলছে না খেলার টিকিট।
কাউন্টারে টিকিট না মিললেও বাইরে অতিরিক্ত মূল্যে মিলছে কালোবাজারিদের কাছে। এমনি ঘটনায় সিলেট জেলা স্টেডিয়াম থেকে ৩ যুবককে গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট জেলা স্টেডিয়াম থেকে ২১টি টিকিটসহ ৩ যুবককে আটক করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। পরবর্তীতে তাদেরকে মুচলেকা দিয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ।
জানা যায়, চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসর মোট তিনটি আলাদা ভেন্যুতে আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরমধ্যে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম পর্বে ইতোমধ্যে বিপিএলের খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন কেবল বাকি সিলেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
আজ ২৭ জানুয়ারি থেকে সিলেটে শুরু হবে বিপিএলের ম্যাচ। সিলেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চারদিনে মোট আটটি ম্যাচ মাঠে গড়াবে। ২৭, ২৮ এবং ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে ম্যাচগুলো। সিলেটে মাঠে বসে দর্শকদের খেলা দেখার জন্য টিকিটের মূল্য প্রকাশ করেছে বিসিবি।
সর্বনিম্ন ২০০ টাকায় ওয়েস্টার্ন গ্যালারি এবং গ্রিন হিল এরিয়া, ৩০০ টাকায় ইস্টার্ন গ্যালারি, এছাড়াও ৫০০ টাকায় ক্লাব হাউজের টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের বিপিএলের সিলেট পর্বে সর্বোচ্চ দামি টিকিট হচ্ছে গ্র্যান্ড স্টান্ডের। ১৫০০ টাকার বিনিময়ে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড মাঠে বসে খেলা দেখতে পারবে ক্রিকেট ভক্তরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে নয়টা থেকে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে তিনটি বুথে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। শুরু হওয়ার মাত্র ১৫মিনিটে ২০০ টাকা ও ৩০০ টাকার টিকিট শেষ হয়ে যায় এবং ৩০০ টাকার টিকিটও ৫শ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দর্শক, ভক্ত-সমর্থকরা।
সিলেটসহ সাতটি দল অংশ নিয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই দর্শক, ভক্ত-সমর্থক সবারই উৎসাহ-আগ্রহ আর উদ্দীপনা প্রচুর। এ বাড়তি উৎসাহের কারণেই অনেকে গতকাল ছুটে যান সিলেট জেলা ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টিকিট কিনতে। একটি টিকিটের আশায় ভোররাত থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছে ভক্ত-সমর্থকরা। কিন্তু দেড় ঘন্টার মধ্যে সর্বনিম্ন মূল্যের টিকিট সব শেষ হয়ে যায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে কয়েকজন টিকিটের ক্রেতা জানান, আজ খেলা দেখার জন্য ফজরের নামাজের পর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। সাড়ে নয়টার দিকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। লাইনে মাত্র ১৫ মিনিট টিকিট বিক্রি করে ঘোষণা করা হয়েছে ২শ ও ৩শ টাকার টিকিট শেষ। কিন্তু এতো টাকা গেল কোথায়? আমরা খেলা দেখতে চাই। আর তারা (কর্তৃপক্ষ) লাভের আশায় টিকিট কালোবাজারিদের হাতে বিক্রি করে দিচ্ছে। অনেকেই আবার এক সাথে ১০টি ১৫ টি টিকিট নিয়ে যাচ্ছেন একা।
সূত্র বলছে-সাড়ে নয়টা টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছিল। কিন্তু জেলা স্টেডিয়ামে টিকিট বিক্রির যারা দায়িত্বে রয়েছেন নিজেদের লোকদের কাছে বেশির ভাগ টিকিট হস্তান্তর করে ফেলেছেন। তাই টিকিট সংকট দেখা দেয় মাত্র ১৫ মিনিটে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে গতকাল আর ২০০ টাকা ও ৩০০টাকার আর কোনো টিকিট নেই। আজ সকাল থেকে এই টিকিট পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে টিকিট বিক্রি বুথের ইনচার্জ কামাল পাশা বলেন, পৌনে নয়টায় আমরা টিকিট বিক্রি শুরু করি। দেড় ঘন্টার মাথায় সর্বনিম্ন মূল্যের টিকিট শেষ হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ আমাদের যে টিকিট দিয়েছিলেন সেগুলো বিক্রি করা হয়েছে। এখন আর আমাদের কাছে সর্বনিম্ন মূ্ল্েযর টিকিট নেই। আজ সকালে এই মূল্যের টিকিট বিক্রি করা হবে।