বানিয়াচং সংবাদদাতা
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন।
আহত হয়েছেন অর্ধশত। এসময় বাড়িঘরে ব্যাপক লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিলওয়ার হোসেন ৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত দুজন হলেন- বানিয়াচং উপজেলার আগুয়া গ্রামের শুকুর মিয়ার ছেলে কাদির মিয়া (৩৫) ও একই গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া (৩৬)। তারা দুজনই অটোরিকশা চালক। হাসপাতালে নেওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসারত অবস্থায় আরেকজন অটো চালক মারা যান। তিনি আগুয়া গ্রামের আলী রাজার ছেলে লিলু মিয়া (৩৭)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার আগুয়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি স্ট্যান্ড ম্যানেজার বদির মিয়া ও অটোরিকশাচালক আব্দুল কাদিরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। একই বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে আগুয়া অটোরিকশা স্ট্যান্ডে গাড়ির সিরিয়াল নিয়ে ম্যানেজার বদির মিয়ার সঙ্গে কাদির মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকে এবং দুপুর ১টার দিকে বদির ও কাদিরের পক্ষ নেওয়া এবং তাদের দুজনের গোষ্ঠীর লোকজন দুই গ্রæপ হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দুই ঘণ্টাব্যাপী তুমুল সংঘর্ষে বল্লম ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই কাদির ও সিরাজের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান লিলু মিয়া। এ সংঘর্ষে দুপক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আগুয়া বাজারে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে আর যাতে সংঘর্ষ না হয় সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ের করে রাখা হয়েছে।
বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, উপজেলার আগুয়া গ্রামে সিএনজি স্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হাঙ্গামাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।