সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, মহান এই বিজয়ের মাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সমগ্র বিশ্বের রোল মডেল, বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক, মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা-কে নিয়ে গান প্রকাশনা হচ্ছে যা অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের বিষয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সকল আন্দোলন সংগ্রামে জাতির পিতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের অবদান। পচাত্তরের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে পাকিস্তানি দোসররা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছে। ছিটমহল, সমুদ্র সীমানা জয় সহ আকাশ, পাতাল, জল ও স্থল সবখানেই অভ‚তপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। সেই সব উন্নয়ন সহ বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রমকে চমৎকারভাবে আজ দুটি গানের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার শিল্পী সুজাতা ভৌমিক অসাধারণভাবে দু’টি গান পরিবেশন করেছেন। যা ভিডিও গ্রাফির মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। দুটি গানই ইতিহাস হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে লিখনী মানেই নতুনত্বের সৃষ্টি। সেই নতুনত্বের সৃষ্টি আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা যোগাবে। পাশাপাশি গান দুটোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। চমৎকার সৃষ্টির জন্য তিনি গীতিকার ও সুরকারকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান। তাছাড়া গানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকেও ধন্যবাদ জানান।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ইনস্টিটিউট সিলেট এর আয়োজনে দরগাহ গেইটস্থ জাজ ইন্সটিটিউটের হলরুমে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন ল’কলেজের উপাধ্যক্ষ ড.এম শহীদুল ইসলাম এডভোকেটের সভাপতিত্বে ও শাহ্ খুররম ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক রনদ্বীপ চৌধুরী লিংকনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেটের ডাক পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ। তিনি বলেন, জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে রচিত গান ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। সেই ইতিহাসের অংশ হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে সৃষ্টি এই দুটি গান সকলের হৃদয় জয় করবে, ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ অতিথি অতিথি হিসেবে অনুভ‚তি ব্যক্ত করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী সুজাতা ভৌমিক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে গান গাইতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। আমিও ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলাম। দীর্ঘকাল থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের চমৎকার সম্পর্ক বহমান। আমাদের পূর্ব পুরুষরাও বাংলাদেশের ছিলেন। সেই কারণে বাংলাদেশের প্রতি ও বাংলাদেশের সংস্কৃতির প্রতি একটা টান রয়েছে। সেই টানেই এ দুটো গান সৃষ্টি করা। এমন মহান দুজন ব্যক্তির গান পরিবেশন করতে পেরে ব্যক্তিগত জীবনের পূর্ণতা পেয়েছে। আপনারা আমাকে যে সম্মান ও আপ্যাশন করেছেন তার জন্য আপনাদের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ।
তাছাড়া বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সুরকার মোহাম্মদ ফয়সাল, যুবলীগ নেতা সামন্ত ধর, উদীয়মান নারী উদ্যোক্তা অর্পিতা দাস, ছাত্র লীগ নেতা আল-আমীন। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক, শিক্ষক, আইনজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
উল্লেখ্য বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গানের কথা-
লিখেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ড.এম. শহিদুল ইসলাম এডভোকেট। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে লিখেছেন তরুণ লেখক ও কলামিস্ট এবং মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি। সিলেটের উদীয়মান তরুণ সুরকার মোহাম্মদ ফয়সালের সুরে গান দুটো গেয়েছেন কলকাতার জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী সুজাতা ভৌমিক। গানের নির্দেশনায় ও অনুপ্রেরণায় ছিলেন অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন এবং সম্পাদনায় প্রভাষক রনদ্বীপ চৌধুরী লিংকন ও সাকিব হাসান প্রান্ত। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় এবং জনপ্রিয় সঙ্গীত বাদক তরুণ বিশ্বাস, প্রদীপ ঘোষাল, সুকান্ত বনিক, রিক মুখার্জীর সংগীত আয়োজনে কলকাতার এ.বি প্রোডাকশন থেকে গান দুটো রেকর্ডিং করা হয়। ভিডিও পরিকল্পনায় ছিলেন জীবেশ আচার্য্য জীবন ও মিলাদ বড় ভ‚্ঁইয়া। আয়োজকবৃন্দ গান প্রেমী শ্রোতাদের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিজ্ঞপ্তি