স্টাফ রিপোর্টার :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সিলেটে টিকার (ভ্যাক্সিন) প্রতি আগ্রহ বেড়েছে মানুষের। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করছেন। নিবন্ধিতরা টিকা গ্রহণের জন্য ভিড় করছেন নির্ধারিত কেন্দ্রে। কিন্তু মাত্র দুটি কেন্দ্রের মাধ্যমে সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ প্রেক্ষিতে সিলেট মহানগরীতে আরও ৯টি টিকাদানকেন্দ্র বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সিটি করপোরেশন (সিসিক)। এজন্য একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুতে সিলেটে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে টিকাপ্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম চালানে ৩১ জানুয়ারি এই টিকার ২ লাখ ২৮ হাজার ডোজ এসেছিল সিলেট। কিন্তু শুরুতে সিলেটে টিকা গ্রহণে মানুষের আগ্রহ ছিল কম। তবে গেল প্রায় মাসখানেক ধরে টিকার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে সবার। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এখন প্রতিদিন টিকার জন্য নিবন্ধন করছেন, নিবন্ধিতরা মোবাইলে বার্তা পেয়ে কেন্দ্রে গিয়ে টিকা গ্রহণ করছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে সিলেট মহানগরীতে টিকাদানকেন্দ্র আছে দুটি। একটি এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, অপরটি বিভাগীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে। এসব কেন্দ্রে ১০টি বুথের মাধ্যমে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু দুটি কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকাপ্রদানে বেগ পোহাতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। কেন্দ্রের বাইরে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ সারি। ফলে টিকাগ্রহীতারা পোহাচ্ছেন দুর্ভোগ। এছাড়া বিপুল সংখ্যক টিকাগ্রহীতা জড়ো হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধিও উপেক্ষিত হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় নগরীতে ৯টি টিকাদানকেন্দ্র বাড়ানোর প্রস্তাব স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠিয়েছে সিসিক।
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম সুমন জানান, প্রস্তাবটি বর্তমানে অধিদফতরের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদন পেলে নগরীতে টিকাদানকেন্দ্র হবে ১১টি। টিকাদানকেন্দ্র বাড়ছে, এমনটা ধরে নিয়ে সিসিক ইতোমধ্যে ৪০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান সম্পন্ন করেছে।
প্রস্তাবিত টিকাদানকেন্দ্রগুলো হচ্ছে, নগর ভবন, মাতৃমঙ্গল হাসপাতাল, ধোপাদিঘীর উত্তর পাড় বিনোদিনী নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বাগবাড়ি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আখালিয়া বীরেশ চন্দ্র নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কাজীটুলা সূর্যের হাসি ক্লিনিক, টিলাগড় সূর্যের হাসি ক্লিনিক, শাহজালাল উপশহর স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং কদমতলী নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
ডা. জাহিদুল ইসলাম সুমন আরো বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলা ও টিকাদান কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে নতুন টিকাদানকেন্দ্র খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।