স্টাফ রিপোর্টার :
গত ১৯ নভেম্বর সিলেট টাউন কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের অনুষ্ঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, আইনানুগ ও বিধি মোতাবেক এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছেন সোসাইটির নেতৃবৃন্দ। বৈধ ১২৬ জন সাধারণ সদস্যের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও দাবি তাদের। শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন তারা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সোসাইটির সভাপতি মো. আব্দুর রহমান চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রহমান চৌধুরী বলেন, দি সিলেট কো-অপারেটিভ টাউন ব্যাংক লিঃ একটি সমবায় সমিতি। ১৯০৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়ে এর কার্যক্রম নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সমবায় সমিতি আইন-২০০১ প্রবর্তিত হওয়ার পর বর্তমানে একই প্রতিষ্ঠান সিলেট টাউন- কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ নাম ধারণ করে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম প্রতি ৩ বছর অন্তর-অন্তর সোসাইটির বৈধ সদস্যগণের গোপন ভোটের মাধ্যমে সাধারণ সদস্যগণের মধ্য থেকে ৯ জন সদস্যকে ব্যবস্থাপনা কমিটি পরিচালনার জন্য নির্বাচিত করা হয়। গত ৩০ নভেম্বর বিগত কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। উক্ত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত কমিটি কার্যক্রম গ্রহণ করে। সমিতির সদস্য তালিকা অনুযায়ী ১২৬ জন বৈধ ভোটারের নাম লিপিবদ্ধ হয়। কিন্তু কমিটির সদস্য খলিলুর রহমান নিজে সম্পাদক পদে জয় লাভের উদ্দেশ্যে বিধি বহির্ভূতভাবে ৫০ জন ব্যক্তিকে নুতন করে সদস্য করার চেষ্টা করেন। এ লক্ষে এককভাবে নিজেই ৫০ টি দরখাস্ত দাখিলক্রমে ৪৯ জনের সদস্য পদ নিয়ে নেন। যা সমিতির উপআইনের ৯ বিধির পরিপন্থি। নির্বাচন অনুষ্ঠানের ১০ দিন পূর্বে অবৈধভাবে সদস্য অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি সোসাইটির সদস্য মোঃ মঈন উদ্দিন ৪৯ জন সদস্যের অন্তর্ভুক্তিকে অন্যায় ও অবৈধ উল্লেখ করে তা বাতিলের জন্য সিলেট জেলা সমবায় অফিসারের নিকট গত ৯ নভেম্বর লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে জেলা সমবায় অফিসার উক্ত ৪৯ জনের সদস্য পদ বাতিল করে দেন।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, উক্ত ৪৯ জনের সদস্য পদ বাতিল হয়। ফলে ১৯ নভেম্বরের নির্বাচন বৈধ হিসেবে বহাল থাকে। পরবর্তীতে সমবায় অফিসার কর্তৃক আদেশের বিরুদ্ধে সদস্য পদ বাতিল হওয়া গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী গং সিনিয়র জেলা জজ আদালত সিলেটে বিবিধ আপীল মোকদ্দমা নং-৫০/২০২২ ইং দায়ের করেন। আদালত উক্ত আপীলটি ১৭ নভেম্বর খারিজ করে দিলে ১২৬ জন ভোটারের ভোটার তালিকা বহাল থাকে এবং বিধি বহির্ভূত ভাবে খলিলুর রহমান কর্তৃক অন্তর্ভুক্ত ৪৯ জন সদস্যের সদস্য পদ বাতিলের আদেশটিও বহাল থাকে। নির্বাচনে দুটি প্যানেল অংশ গ্রহণ করে। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ১২৬ জন ভোটারের মধ্যে ১০৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট শেষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীগণ ও প্যানেলের সমর্থকগণের উপস্থিতিতেই ভোট গণনা হয়ে ফলাফল প্রকাশিত হয় এবং বিজয়ী সদস্যগণ ২২ নভেম্বর নিয়মতান্ত্রিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী খলিলুর রহমান সম্পাদক পদে হেরে গিয়ে নানা রকম মিথ্যাচার করছেন। ইতিপূর্বে কমিটির নির্বাচিত সম্পাদকগণ একাধারে ৯ বছর নির্বাচিত সম্পাদক হিসেবে কাজ করে গেছেন। যা সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ এর ১৮ (৮) ধারায় বিধান রয়েছে। সমিতির ১২৬ জন সদস্যদের সমিতির নিয়ম ও বিধি মেনে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ব্যবস্থাপনা কমিটি তাদের সদস্য পদ প্রদান করে। তাতে এককভাবে কারো কোন আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ নাই। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির সেক্রেটারী মো. মঈন উদ্দিন, সহসভাপতি মো. আব্দুর রহমান আবুল, সদস্য মো. মকবুল হোসেন, মো. ফখরুদ্দীন আহমদ, রুমেল আহমদ, মো. তৌহিদুল ইসলাম, মো. সাহেদ মিয়া, নিংল্যান্ড সিংহ, মো. মইজ উদ্দিন পারভেজ ও নুপুর মনি সিং।