বিরল নাটকীয়তার পর জিম্বাবুয়েকে হারালো বাংলাদেশ

9

স্পোর্টস ডেস্ক :
শেষ বলে জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের দরকার ৫ রান। ব্লেসিং মুজারাবানিকে স্টাম্পিং করেন উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান। উল্লাসে ফেটে পড়েন বাংলাদেশের ক্রিকেটার ও সমর্থকরা। এর মাঝে মাঠও ছাড়েন দুদলের ক্রিকেটাররা। কিন্তু নাটকীয়তা তখনও বাকি। স্টাম্পের আগে বল ধরায় আম্পায়ার দেন নো বলের ইশারা।
ফলে আবারও মাঠে নামে দুদল। তখন জয়ের জন্য দরকার ১ বলে ৪ রান। ফের একবার শেষ বল করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। কিন্তু হয়নি ব্যাটের সঙ্গে বলের স্পর্শ। ফলে ৩ রানের নাটকীয় জয় পেল বাংলাদেশ দল। মাঠ ছাড়ার পর আবারও খেলতে নামার ঘটনা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে আর একটিও নেই। এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশি দলনেতা সাকিব আল হাসান। কিন্তু অধিনায়কের সিদ্ধান্তের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি সৌম্য ও লিটন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে কোনো রান না তুলেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সৌম্য সরকার। আর পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ১৪ রানে আউট হন লিটন দাস।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইতিবাচক ব্যাট করতে থাকেন ওপেনার শান্ত ও দলনেতা সাকিব। এ সময় দুজনের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৩ বলে ৫৪ রান। এরপর শেন উইলিয়ামসের করা বলে মুজারাবারি হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব।
এদিকে ওপেনিংয়ে খেলতে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি। বাঁ-হাতি এই ব্যাটারের ইনিংস থেমেছে ৭১ রানে। সিকান্দার রাজার করা বলে ক্রেইগ আরভিনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ৫৫ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি সাতটি চার ও একটি ছয়ে সাজানো। ১০ বলে ৭ রানে ফেরেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
এদিকে আফিফ হোসেন ধ্রুব খেলে যান শেষ পর্যন্ত। একটি চার ও একটি ছয়ে ২০ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন। আর ১ রানে মাঠ ছাড়েন নুরুল হাসান সোহান।
রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশি পেসারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি জিম্বাবুয়ের টপঅর্ডার ব্যাটাররা। পাওয়ার প্লেতেই হারিয়েছে চারটি উইকেট। ইনিংসের প্রথম ওভারে তাসকিনের আহমেদের করা বলে ক্যাচ আউট হন ওয়েসলে ম্যাধেভেরে। নিজের করা পরে ওভারে জিম্বাবুইয়ান দলনেতা ক্রেইগ আরভিনকে ফেরান তাসকিন। ৪ রানে ম্যাধেভেরে ও ৮ রানে আরভিন আউট হন।
এদিকে নিজের করা প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট তুলে নেন কাটার মাস্টার খ্যাত মোস্তাফিজুর রহমান। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে সুম্বা ও পঞ্চম বলে আউট হন সিকান্দার রাজা। আউট হওয়া আগে সুম্বা ৮ রান করলেও রানের খাতায় খুলতে পারেননি রাজা। এছাড়া ১৫ রানে আউট হন চাকাভা।
৬৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলের হাল ধরেন শেন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্ল। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুজন মিলে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান। গড়েন ৬৩ রানের জুটি। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন উইলিয়ামস। সাকিব আল হাসানের করা ১৯তম ওভারে ব্যক্তিগত ৬৪ রানে রান আউট হন তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান দুটি ও মোসাদ্দেক হোসেন একটি করে উইকেট নেন।