কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিমান বাহিনীর এক কর্মচারীর বাসায় ডাকাতির এক দিনের ব্যবধানে মঙ্গলবার দিাগত বুধবার গভীর রাতে আলীনগর ইউনিয়নের জালালিয়া গ্রামে এক ব্যাংকারের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছিল। ডাকাত দলের গুলিতে স্কুল ও কলেজের ২ শিক্ষার্থী, এক ব্যাংকার গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। কুপিয়ে আরো দু’জনকে জখম করে ডাকাতরা প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে গুলি ছুঁড়ে ছুঁড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় কমলগঞ্জের পুলিশ জবাজদিহির মুখে পড়েছিল। ফলে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালালের নির্দেশনায় জোর পুলিশি তদন্ত শুরু হলে সহকারী পুলিশ সুপার (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল থানা) মো: আশফাকুজ্জানের নেতৃত্বে কমলগঞ্জ থানার ওসি বদরুল হাসান পুলিশের একটি দল নিয়ে কুলাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী শরীফপুর ইউনিয়নের আমতলা গ্রাম থেকে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে আছকির মিয়া (৩১) নামে এক ডাকাতকে আটক করা হয়। ডাকাত আসকির মিয়াকে কমলগঞ্জ থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদকালে জালালিয়া গ্রামে ব্যাংকার নিপতি রঞ্জন চৌধুরীর বাড়িড়ে ডাকাতি, গুলি ও কুপিয়ে আহত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা সে স্বীকার করে। শুক্রবার রাতেই ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের সামনেই আটক ডাকাত আছকির মিয়া বাড়িতে কিভাবে প্রবেশ করে ও ডাকাতিকালে গুলি ও কুপিয়ে নারী, ছাত্রসহ ৫ জনকে আহত করার করার বর্ণনা দেয়। আটক ডাকাত আসকিরকে ডাকাতি মামলা ১৯/২০১৭ (ধারা ৩৯৫/৩৯৭-এ গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে মৌলভীবাজার আদালতের মাদ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
বুধবার গভীর রাতে জালালিয়া গ্রামে শ্রীমঙ্গলস্থ সোনালী ব্যাংকের হিসাব রক্ষক নিপতি রঞ্জন চৌধুরীর বাড়িতে ডাকাতিকালে ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে ব্যাংকার নিপতি রঞ্জন চৌধুরী(৫৬), দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নির্জন চৌধুরী (১৬), একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী দৃষ্টি রানী চৌধুরী (১৯) আহত হয়েছিলেন। সাথে সাথে পার্শ্ববর্তী ঘরের ধনবতী চৌধুরী (৪২) ও বিশ্ববতী চৌধুরী (৩৮) ডাকাতের দায়ের কোপে গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
এএসপি সার্কেল (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল থানা) মো. আশফাকুজ্জামান ও কমলগঞ্জ থানার ওসি বদরুল হাসান ডাকাত আসকিরকে গ্রেফতার করে লুটে নেওয়া কিছু মালামাল উদ্ধার করার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দ্রুত বাকি ডাকাতদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।