বড়লেখায় প্র্রেমিকা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, প্রেমিকসহ ২ জন কারাগারে

17

বড়লেখা সংবাদদাতা

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রেমিকাকে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে প্রেমিক ও তার বন্ধুরা মিলে এক তরুণীকে (২১) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ প্রেমিকসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। গত সোমবার উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের একটি চা বাগানে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গত শনিবার ১৭ ফেব্রæয়ারি ওই তরুণীর মা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ডালিম উদ্দিনের ছেলে প্রেমিক মাহমুদুল হাসান (২০) ও কুদরত আলীর ছেলে আল আমিনকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলার পূর্ব দৌলতপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নুরুল ইসলাম ওরফে ফাহিম (২৫), পূর্ব দৌলতপুর গ্রামের ফইয়াজ আলীর ছেলে রমিজ উদ্দিন (২৮) ও নাফিতখাই গ্রামের বলাই মিয়ার ছেলে সানোয়ার আহমদ (২২)। বর্তমানে তারা পলাতক রয়েছে।
গত শনিবার (১৭ ফেব্রæয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নব গোপাল দাশ গ্রেফতারকৃতদের বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করেন। ওই দিন বিকেলে গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে প্রেমিক মাহমুদুল হাসান (২০) বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট মোহাম্মদ জিয়াউল হকের আদালতে স্বীকারোক্তি দেন।
জানা গেছে, উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের এক তরুণীর সাথে মাহমুদুল হাসানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১২ ফেব্রæয়ারি প্রেমিক মাহমুদুল হাসান বেড়ানোর কথা বলে তাকে অহিদাবাদ চা বাগানে নিয়ে যায়। পূর্ব থেকে গোপনে সে তার কয়েকজন বন্ধুকে সেখানে রেখে দেয়। এরপর নির্জন স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক সবাই মিলে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় লম্পটরা ধর্ষণের শিকার তরুণীকে তার বাড়ির পাশে ফেলে যায়। পরে ওই তরুণীকে তার পরিবার চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই তরুণী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বড়লেখার শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নব গোপাল দাশ। নব গোপাল দাশ বলেন, ধর্ষণের শিকার তরুণীর মায়ের করা মামলার পরই অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান ও তার বন্ধু আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত শনিবার আদালতে মাহমুদুল হাসান স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।