কাজিরবাজার ডেস্ক :
চীনের উহান শহর থেকে শুরু হওয়া করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ইতালি। দেশটিতে গত ৭ মার্চ দেশটির উত্তরাঞ্চল প্রথমে লকডাউন করা হয়, এরপর পুরো দেশ। তখন নিয়ম ছিল, বাড়ি থেকে ২০০ মিটারের বাইরে কেউ যেতে পারবে না। মে’র শুরুর দিকে এই লকডাউন শিথিল করা হয়। এখন দেশটিতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হচ্ছে ৩ জুন থেকে ফলে ওই দিন থেকে বিভিন্ন দেশের পর্যটকেরা সেখানে যেতে পারবেন। এ ছাড়া দেশটির পানশালা ও রেস্তোরাঁগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে ১৮ মে। তবে কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো রেস্তোরাঁয় টেবিলের সংখ্যা কমিয়ে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া ফেসশিল্ড ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই দিন থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে সেলুন। তবে স্কুল বন্ধ থাকছে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। জাদুঘর, লাইব্রেরি, দোকান খুলে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন খেলাধুলার ক্লাবগুলো অনুশীলন শুরু করেছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে প্রার্থনার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে গির্জাগুলোতেও।
এদিকে শনিবার একটি গ্রুপ মাস্ক ব্যবহার করবে না বলে রাজধানী রোমের রাস্তায় সভা সমাবেশ করে।
এদিকে লোম্বারদিয়ার প্রসিডেন্ট আত্তেলিও ফোন্তানা জানান, আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত লোম্বারদিয়া অঞ্চলে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
শনিবার ৩০ মে দেশটিতে মৃত্যুবরণ করেছে ১১১ জন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যুবরণ করেছে ৩৩ হাজার ৩৪০ জন। এ দিন নতুন আক্রান্ত ৪১৬ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্ত দুই লাখ ৩২ হাজার ৬৬৪ জন। গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ৪৫০ জন। দেশটিতে এখনো চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৪৩ হাজার ৬৯১ জন। আজ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে দুই হাজার ৭৮৯ জন এবং মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে এক লক্ষ ৫৫ হাজার ৬৩৩ জন বলে জানিয়েছেন নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার প্রধান অ্যাঞ্জেলো বোরেল্লি।
জনগণকে সুরক্ষা দিতে ইতালি সরকার করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।