দুর্নীতির অভিযোগগুলো পুঙ্খানুপঙ্খ ভাবে তদন্ত

3

দেশে দুর্নীতি ক্রমেই ডালপালা মেলছে। আর সরকারি কাজকর্মে তা যেন এক সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু দুর্নীতির কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশে জিডিপির ২ থেকে ৩ শতাংশ লোপাট হয়ে যায়। অভিযোগ আছে, ঘুষ ছাড়া সরকারি অফিসগুলোতে কোনো কাজই হয় না।
এর পরও সরকারি অফিসগুলোর সেবা পেতে মানুষকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। সরকারি ভবন নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহারের খবরও গণমাধ্যমে এসেছে। কেনাকাটায় অনিয়মেরও কোনো লাগাম নেই। একটি বালিশ কিনতে খরচ হয় সাত হাজার টাকা। খবরে বলা হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের ১৩ কারাগারে ১৪৩ কোটি ৭৯ লাখ ৪০ হাজার ৮১৬ টাকার অনিয়ম হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে লোক নিয়োগ, কেনাকাটা, ক্যান্টিনের আয়সহ অনেক কিছুই নিয়ম মেনে করা হয়নি।
২০০৬ সাল পর্যন্ত আগের পাঁচ বছর বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। পরবর্তীকালে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) শক্তিশালী করা হয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাও কিছু পদক্ষেপ নেয়। রাস্তার পাশে অনেক দামি গাড়ি ফেলে যাওয়ার হিড়িক পড়ে যায়। ফলে দুর্নীতির র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ কিছুটা উন্নতি করলেও অবস্থান এখনো তলানিতেই রয়ে গেছে। আশঙ্কার বিষয়, সাম্প্রতিক সময়ে আবারও গণমাধ্যমে লাগামহীন দুর্নীতির খবর আসতে শুরু করেছে।
এসব দুর্নীতির ঘটনায় উচ্চ পদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ অনেক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। এর পরও দুর্নীতি কমছে না কেন? আমরা চাই, দুর্নীতির অভিযোগগুলা পুঙ্খানুপঙ্খভাবে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।