জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
সম্প্রতি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্স ও চিকিৎকের অবহেলায় ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও গ্রামের এক রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হয়। এ ঘটনার সাথে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মধু সুদন ধর কোন ভাবেই জড়িত নন। তবুও গরীবের ডাক্তার নামে খ্যাত ডা. মধু সুদন ধরকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পুরো জগন্নাথপুর উপজেলাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ৫ অক্টোবর বুধবার এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বস্তরের সচেতন মহলের উদ্যোগে স্থানীয় পৌর পয়েন্টে মানববন্ধন ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে প্রতিবাদী জনতা অংশ গ্রহণ করেন। এ সময় বিক্ষোভে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে পৌর শহর।
পৌর যুবলীগ নেতা আকমল হোসেন ভূঁইয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, সাবেক ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র শফিকুল হক, বর্তমান প্যানেল মেয়র সাফরোজ ইসলাম মুন্না, পৌর কাউন্সিলর কামাল হোসেন, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দ্বীপ সূত্রধর বীরেন্দ্র, উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক নুরুল হক, আ’লীগ নেতা আফু মিয়া, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছালিক আহমদ পীর, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মুকিত, সিনিয়র সাংবাদিক শংকর রায়, আবদুল হাই, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো.শাহজাহান মিয়া, সাংবাদিক অমিত দেব, ব্যবসায়ী শফিকুর রহমান, খায়রুল হাসান রূপা, সঞ্জয় দাস, নিশি কান্ত দাস, ছাত্রনেতা এম শামীম আহমদ প্রমুখ।
এতে সবার প্রিয় ডা. মধু সুদন ধরকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান বক্তারা। সেই সাথে এ ঘটনায় এক সাংবাদিক জড়িত থাকার বিষয়ে বিষোদগার প্রকাশ করা হয়। এ সময় সাবেক পৌর কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন মুন্না, বর্তমান পৌর কাউন্সিলর কৃষ্ণ চন্দ্র চন্দ, ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক বাজার সেক্রেটারি দিলোয়ার হোসেন, পৌর যুবলীগ নেতা সৈয়দ জিতু মিয়া, সাংবাদিক আলী আছগর ইমন, হুমায়ূন কবির ফরিদী, মুকিম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, শামসুল হক, আক্তার হোসেন সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিবাদী জনতা উপস্থিত ছিলেন।