জগন্নাথপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে ভুল হলেই আ’লীগের ভরাডুবি

13

মো.শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে ভুল হলেই আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে। এখনো উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদটি বিএনপির দখলে রয়েছে। বিএনপির কাছ থেকে পুন:উদ্ধার করতে হলে জনতার পছন্দের প্রার্থীকে দলীয় ভাবে মনোনীত করতে হবে। তা না হলে আবারো বিএনপির দখলে চলে যাবে। এমনটাই মনে করছেন দলীয় নেতাকর্মী সহ সাধারণ মানুষ। আগামী ৬ অক্টোবর হচ্ছে মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ। বর্তমানে দলীয় মনোনয়ন পেতে প্রার্থীদের নামের তালিকা কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডে রয়েছে।
ইতোমধ্যে জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আকমল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি হারুন রাশীদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মিন্টু রঞ্জন ধর, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন মাস্টার, সাবিনা সুলতানা হালিমা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তাদির আহমদ মুক্তা সহ ৮ জন প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করা হলেও আকমল হোসেন, রেজাউল করিম রিজু, নুরুল ইসলাম, হারুন রাশীদ, মিন্টু রঞ্জন ধর সহ ৫ জনের নামের তালিকা দলীয়ভাবে চূড়ান্ত করে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠানো হয়। জেলায় গিয়ে সাবিনা সুলতানা হালিমা ও সিরাজ উদ্দিন মাস্টারের নাম সংযুক্ত হয়ে ৭ জনের নামের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হলেও মুক্তাদির আহমদ মুক্তা বঞ্চিত হন।
এর মধ্যে বিগত নির্বাচনে লড়াই করলেও বিএনপির প্রার্থী আতাউর রহমানের কাছে পরাজিত হন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আকমল হোসেন। বিগত ২০০৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেন মিন্টু রঞ্জন। এছাড়া হারুন রাশীদ ও মুক্তাদির আহমদ মুক্তা উপজেলা নির্বাচনে লড়াই করেছেন। সব মিলিয়ে এবার জনতার পছন্দের প্রার্থীকে দলীয় ভাবে মনোনীত করতে হবে। এটা হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ। জনতার পছন্দের প্রার্থীকে দলীয় ভাবে মনোনীত করা হলে আওয়ামী লীগের সহজ বিজয় হবে। তা না হলে চরম খেশারত দিতে হবে। কারণ বিএনপি সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান একজন হেভিওয়েট প্রার্থী। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও আতাউর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও বিএনপি সমর্থিত তিনি একক প্রার্থী। তাই আতাউর রহমানের সাথে লড়াই করেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী হতে হবে। এ কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জনতার পছন্দের প্রার্থীকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তা না হলে এবারো ভরাডুবি নিশ্চিত।
১ অক্টোবর শনিবার নির্বাচনী আলাপকালে নাম প্রকাশ না করে এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন দলীয় একাধিক নেতাকর্মীসহ ভোটার সাধারণ। এর মধ্যে এবার নতুন ভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে জমিয়ত। জমিয়ত এবার দলীয় ভাবে প্রার্থী দিয়েছে। প্রার্থীর নাম সৈয়দ তালহা আলম। তাঁকেও খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। জমিয়ত এবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মাঝে ভোটের ভাগ বসাবে। সেই হিসাব-নিকাশ করেই এবার আওয়ামীলীগকে জনতার পছন্দের প্রার্থীকে দলীয় ভাবে চুড়ান্ত মনোনয়ন দিতে হবে। এমন আশা নিয়ে কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডের দিকে তাকিয়ে আছেন তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী সহ সর্বস্তরের মানুষ।