সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. আনোয়ার সাদাত বলেছেন, শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থেকে প্রবীণ ব্যক্তিরা বিগত জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে দেশ ও সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন। প্রবীণ জনগোষ্ঠিকে গঠনমূলক কাজে লাগিয়ে নানামুখী কল্যাণমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করলে সমাজ ও রাষ্ট্র উপকৃত হবে। প্রবীণদের সম্মান দিতে হবে পাশাপাশি ছোটদেরও স্নেহ মমতা করতে হবে।
তিনি শনিবার (০১ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যলয়ের সম্মেলন কক্ষে সিলেট জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান সিলেট জেলা ও বিভাগীয় শাখার যৌথ উদ্যোগে র্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বাংলাদেশ প্রবীন হিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান সিলেটের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার সাদিয়া বিনতে সোলায়মানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তৌসিফ আহমদ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কমিশনার ইয়াহিয়া আল মামুন, সমাজ সেবা অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক নিবাস রঞ্জন দাস।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ, সংঘের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক ও কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংঘের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মসুদ রাজা চৌধুরী। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. আনোয়ার সাদাত এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের এক বর্ণাঢ্য র্যালি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
র্যালি ও আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংঘের সাবেক সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মান্নান চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. আজিজুর রহমান, কবির আহমদ, বেলাল আহমদ চৌধুরী, এডভোকেট চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক, এডভোকেট আখতার হোসেন খান, সাংবাদিক আবু তালেব মুরাদ, হাজী আতাউর রহমান খান সমসু, নারী নেত্রী শামসুন্নাহার মিনু, আনোয়ার উদ্দিন বুরহানাবাদী, সাংবাদিক চৌধুরী দেলওয়ার হোসেন জিলন, আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি