‘নদী হচ্ছে দেশের শিরা-উপশিরা। অথচ দেশের ১৩০০ নদী থেকে কমতে কমতে এখন আছে মাত্র ৩৮৩টি নদী। এ নদীগুলো বেঁচে না থাকলে দেশ অচল হয়ে যাবে। মানুষের বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই দেশের নদীগুলো রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি জরুরি। এ জন্যে যার যার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সিলেট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে র্যালি পরবর্তী আলোচনাসভায় বক্তারা একথা বলেন।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা কমে এসে দাঁড়িয়েছে এক চতুর্থাংশে। খাল-বিল-পুকুরও আগের সংখ্যায় নেই। জলাধার কমে যাওয়ার কারণেই বন্যার ভয়াবহতা বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, নদীগুলো ভরাট হয়ে গেছে। কোন কোন নদীর অস্তিত্বই এখন নেই। দখলে-দূষণে ক্ষীণ হয়ে গেছে অনেক নদী। তলদেশে পলিথিন জমে জমে এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, খনন করাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
জেলা প্রশাসক নদীর উপকারিতা ও পরিবেশ রক্ষায় শিক্ষার্থীদেরকে সচেতন করে তুলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাউটস ও গার্লস গাইডের প্রতি আহবান জানান।
আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবারক হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ মাহমুদ, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপার যুগ্মসম্পাদক, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের ছামির মাহমুদ ও বেলার বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ শাহেদা আক্তার।
এর আগে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। বিজ্ঞপ্তি