কাজিরবাজার ডেস্ক :
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর ইজিয়ামের একটি গণকরব থেকে ৪৩৬টি লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০টি লাশে নির্যাতনের দৃশ্যমান চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন খারকিভের গভর্নর ওলেহ সিনিয়েহুব।
শুক্রবার এএফপির একটি প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
খারকিভ অঞ্চলের গভর্নর ও পুলিশপ্রধান ভলোদিমির টাইমোশকো ইজিউমে সাংবাদিকদের বলেছেন, এ মাসে পাল্টা আক্রমণে ইউক্রেনীয় বাহিনী পুনরুদ্ধার করা এলাকায় আরও তিনটি কবরস্থানের সন্ধান পাওয়া গেছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলার দুই মাস পর এপ্রিলে ইজিয়াম দখলে নেয় রুশ সেনারা। শহরটিকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করেছিল তারা। কদিন আগে শহরটি মুক্ত করে কিয়েভ বাহিনী।
ইউক্রেনীয় পুলিশ বলছে, ওই স্থানে ৪৪৫টি নতুন কবর রয়েছে। তবে কিছু কবরে একাধিক লাশ রয়েছে। এরা কীভাবে মারা গেছে, তা স্পষ্ট নয়। তাদের মধ্যে অনেক বেসামরিক নাগরিক, নারী ও শিশু রয়েছে।
খারকিভের আঞ্চলিক প্রসিকিউটর ওলেক্সান্ডার ইলিয়েনকভ বলেন, এখানে যে যুদ্ধাপরাধ হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রথম কবরে একজন বেসামরিক নাগরিক আছেন, যার গলায় দড়ি রয়েছে। এগুলো নির্যাতনের চিহ্ন ছাড়া আর কী?
নীল প্লাস্টিকের আবরণ পরা শতাধিক ইউক্রেনীয় জরুরি পরিষেবাকর্মী অস্থায়ী কবরগুলো খুঁড়ছেন। তারা মৃত্যুর কারণগুলো জানার চেষ্টা করছেন।
পুলিশ এবং প্রসিকিউটরদের উপস্থিতিতে খবর খোঁড়ার কাজ চলছে নীরবে। পাশে এক কর্মকর্তা মাথায় হাত দিয়ে বসে ছিলেন। তিনি বলেন, রুশ সেনাদের কারণে প্রায় সবাই মারা গেছেন। যারা বেঁচে ছিলেন তারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অনেকে আবার রাশিয়ান ফেডারেশনের বিমান ও কামান হামলায় মারা পড়েছেন।