স্টাফ রিপোর্টার :
স্ত্রীকে ছেড়ে না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা স্বামী-স্ত্রী ও তার পরিবারকে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে। এখন ওই পরিবার সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে। এ ঘটনায় সুনামগঞ্জ সদর থানার পশ্চিমবাজার সুগন্ধা হরলাল রায়ের পুত্র বর্তমানে নগরীর মির্জাজাঙ্গাল মেঘনা এ/৩৯ নং বাসার অশেষ রায় বাদি হয়ে একজন সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখ করে কোতোয়লী থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করেন। যার নং-৬৫৬ (১০-৭-১৮)। আসামীর নাম- সোহেল আহমদ (৩২)। সে কোতোয়ালী থানার পাঠানটুলা এলাকার বাসিন্দা।
জিডিতে অশেষ রায় উল্লেখ করেন- তার স্ত্রী ডা: মুনিয়া শ্রাবন্তী দে তাকে বিয়ে করার পূর্বে সোহেল আহমদ তার স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ ৫ বছর পূর্ব হতে বিভিন্ন লোক দিয়ে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিল। এমনকি মুনিয়া শ্রাবন্তীকে বিয়ের প্রস্তাব পর্যন্ত আসামী সোহেল আহমদ দিয়েছিল। স্ত্রীর পরিবার তার এমন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এমনকি অশেষ কর ও তার স্ত্রী হিন্দু, আসামী সোহেল আহমদ মুসলমান ধর্মের সঙ্গে মিল না থাকায় তার সঙ্গে কোন আত্মীয়তা তার স্ত্রী করে নাই। গত ১ বছর পূর্বে উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে ডা: মুনিয়া শ্রাবন্তী দে’কে তিনি বিয়ে করে স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকেন। তিনি জিডিতে আরো উল্লেখ্য করেন, মুনিয়া শ্রাবন্তীকে বিয়ে করার পর আসামী সোহেল আহমদ তাকে ও স্ত্রী ও তার পরিবারের ক্ষতিসাধন করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। অশেষ কর্মস্থল জিন্দাবাজার ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড শপিংমলের ৬ তলায় প্রায় সময় সোহেল তার আরো ৭/৮ জন সন্ত্রাসী লোক নিয়ে তাকে বলে যে, “আমি যদি মুনিয়া শ্রাবন্তীকে না ছাড়ি তার সন্ত্রাসীলোক দিয়ে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে দেয়”। গতকাল মঙ্গলবার (১০ জুলাই) সকাল পৌনে ৮ টার দিকে তার বোন হেপী রানী রায় ও তার স্ত্রী মুনিয়া শ্রাবন্তী একটি রিক্্রাযোগে নগরী নয়াসড়ক খাজাঞ্চিবাড়ী স্কুলে যাওয়ার পথে সোহেল আহমদসহ আরো ২/৩ জন লোক নিয়ে বারুতখানা পয়েন্টের সামনে তার স্ত্রী ও বোনকে নানা ভাবে ভয়ভীতি হুমকী দিয়ে বলে যে, “তার স্ত্রী যদি তাকে ছেড়ে না যায় তাহলে পরিবারবর্গের যে কোন লোককে প্রাণে মেরে কোথায় লাশ গুম করবে কেউ টেরও পাবে না। উক্ত আসামী সোহেল আহমদ তার কিংবা তার পরিবার বর্গের যেকোন লোকের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাইতে পারে বলে তিনি জিডিতে উল্লেখ করেন।