শোনে না কেউ দূরের ক্রন্দন :
ক্রমশ বেড়ে যায় স্বৈরাচার নীল যন্ত্রণা আমার
কবির কল্পলোকে ঘুঘু নাচে
আশা নেই, ভাব-ভাষা নেই
প্রতিশ্রুতিময় আশ্চর্য ভোরে
অসংখ্য লাল পদ্ম নিরুদ্দেশ
শ্বাসযন্ত্র চেপে ধরেছে সমাজ আমার!
তবু ত্বক দিয়ে নি:শ্বাস নেই কেঁচোর মতো ধীর গতিতে
ছুটি ফাগুনের আগুন বিলাসে
কী আশ্চর্য! কৃষ্ণচূড়ায় এলাহিকা-
অথচ বট বৃক্ষের ডালে শীতের মরুভূমি
বসি মনের সূর্যপাড়ে
এ কী! পূর্ণ সূর্যগ্রহণ, থমথমে ভাব
স্বপ্নগুলো কুরে কুরে খায় অলক্ষে অগোচরে…
শুকনো তৃণখ-ের মত বেয়াড়া বন্যা-খরা পেরিয়ে
ঠাঁই পাই আদাড়ে-বাদাড়ে
খুঁজি হৃদয়বৃত্তির সুন্দর চাষ
ঊষর ধূসর পৃথিবী ঘোর অরণ্য দেখায়…
উদাস বাউল গেয়ে যাই আমি গান
শুনে না কেউ দূরের ক্রন্দন
নিমিষে দিগন্তেই অপমৃত্যু
মনের ছায়ায় বসে শোকের নিরীহ হাট
বিকি কিনি অথৈ অশ্রুসাগর…
দেখি সোনালি-রূপালি আমি
শেকড়হীন স্বর্ণলতা আমাকে পেঁচিয়ে বাড়ে
পাগলা গারদে বন্দি হাতে ফাঁসির দড়ি আমার
নির্ঘাত আত্মহত্যা কবির
তখনো
আমার চাঁদ আমার কবিতাকে খুঁজি….