সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ সালুটিকরে জায়গা জবর দখলের অভিযোগ

8

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের সালুটিকরে আদালতের রায়ে জমির মালিকানা পাওয়া পরও সে জমি স্থানীয় ভূমিখেকো চক্র জবর দখল করতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকরস্থ মিত্রিমহল গ্রামের মশ্রব আলীর ছেলে ফেরাই মিয়া। একই সঙ্গে তার এ জমি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সালুটিকর মৌজার অন্তর্ভুক্ত মিত্রিমহলে ১৯৫৬ সালে আমার সৎ মা মরহুমা হায়াতুন নেছা স্থানীয় ধনাই নামের নিকট থেকে ৩৮ কিয়ার জায়গা ক্রয় করেন। কিন্তু ক্রয় পরবর্তী জরিপে দলিলটি বাজেয়াপ্ত করে ওই জায়গা সরকারের খাস জমি হয়ে যায়। তবে দলিল বাজেয়াপ্ত করা হলেও জমি হায়তুন নেছার ভোগদখলে ছিলো। হায়াতুন নেছার কোনো ছেলে সন্তান না থাকায় বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে ভূমি অফিসে যাতায়াত বা যোগাযোগের কেউ ছিলো না। এই অবস্থায় ২০১৬ হায়াতুন নেছা বাদী হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবং মমলার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর বিজ্ঞ আদালত হায়াতুন নেছার পক্ষে রায় দেন।
ফোরাই মিয়া আরও বলে, মামলা চলাকালীন অবস্থায় হায়াতুন নেছা মারা যান। তাঁর অবর্তমানে মেয়ে ফরিজা বেগম মামলা পরিচালন করেন। পরবর্তীতে ফরিজা বেগমও মারা গেলে তাঁর ছেলে আলী আহমদ এ মামলা চালিয়ে যান। একপর্যায়ে আদালতের রায় তাদের পক্ষে আসে। রায়ের পর সরকারের পক্ষ থেকে এ জায়গা ভোগদখলে কোনো আইনি বাধা না থাকলেও স্থানীয় একটি ভূমিখেকো চক্রের লুলোপ দৃষ্টি এ জায়গার ওপর পড়ে।
এ জমি দখলের অপতৎপরতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন ,মিত্রিমহল গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে কলমধর আলী ওরফে মজম্মিল আলী (৫৫), মৃত আব্বাস আলীর ছেলে হানিফ আলী, মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে চাঁন মিয়া ও মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে সুরুজ মিয়া ওই জায়গা জবরদখল করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। এই চক্রের কারণে আমরা আমাদের জায়গায় যেতে পারছি না। আমরা ওই জায়গায় গেলেই তারা তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা করতে আসে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তারা বলে- আইন তাদের কিছ ুকরতে পারবে না। আর যদি আমরা আমাদের জায়গায় যেতে চাই তবে তাদের অন্তত ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। এছাড়াও তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকিও দিচ্ছে।
ফেরাই বলেন, আমরা নিরীহ হওয়ায় প্রতিবাদও করতে পারছি না। অপরদিকে, ভূমিখেকো চক্রটি প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়ভাবে আমরা সুবিচারও পাচ্ছি না। এমন অবস্থায় ভূমিখোকে ওই ‘ভয়ঙ্কর’ চক্রের হাত থেকে রেহাই পেতে এবং নিজেদের জায়গা নির্বিঘ্নে ভোগদখল করতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।