স্পোর্টস ডেস্ক :
সকালে ঘুম থেকে উঠেই বড় সংবাদ পেয়েছেন ভারতীয়রা। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার ১১দিন পর পাকিস্তান সীমান্তে জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহম্মদের (জেইএম) ডেরায় হামলা চালানোর দাবি করেছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। এই হামলায় প্রায় ২শ’ থেকে ৩শ’ জঙ্গি নিহত ও তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়।
এমন খবরে উচ্ছ্বসিত দুই সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেবাগ ও গৌতম গম্ভীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় বিমানবাহিনীর উদ্দেশ্যে ‘স্যালুট’ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে পাকিস্তানের বালাকোট শহরে জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে এ হামলা চালানো হয়।
বিমানবাহিনীর বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, অভিযানে ১২টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান মিরেজ ২০০০ অংশ নেয়। এ সময় বালাকোটের জঙ্গিগোষ্ঠীর ক্যাম্পে প্রায় একহাজার কেজি বোমা নিক্ষেপ করে সেটি পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, এক হাজার কেজি ওজনের লেজার গাইডেড বোমাটি নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) পেরিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠীটির প্রশিক্ষণ ক্যাম্পটি গুঁড়িয়ে দেয়।
এমন খবরে পুরো ভারতে স্বস্তি আর উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে। ক্রিকেটাঙ্গনেও পড়েছে তার ছাপ। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেক সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেট তারকারা ভারতের বিমানবাহিনীকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। আবার অনেকে জানাচ্ছেন স্যালুট।
এর আগে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার পর সাবেক ও বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেট তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিন্দায় মুখর ছিলেন শেবাগ ও গম্ভীর। দুজনেই এই হামলার কড়া জবাব দেওয়ার আহবান জানিয়েছিলেন। গম্ভীর তো যুদ্ধের মাধ্যমেই জবাব দিতে বলেছিলেন। এবার সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিতে বিমান হামলার পরও সবার আগে মন্তব্য করলেন এই দুজনই।
শেবাগ তার টুইটে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের বিদ্রুপ করেছেন। প্রায় প্রতি ম্যাচ শেষে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা প্রায়ই যা বলেন, ভারতীয় বিমানবাহিনীকে নিয়েও অনেকটা সেই ধাঁচেই তিনি লিখেছেন, ‘ছেলেরা সত্যি খুব ভালো খেলেছে।’ এরপর পাকিস্তানকে সাবধান করে হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে লিখেছেন, ‘শুধরে যাও, নয়তো শুধরে দেবো।’
এছাড়া ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রশংসা করে টুইট করেছেন গম্ভীর, বর্তমান ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চাহাল থেকে শুরু করে ব্যাডমিন্টন তারকা সাইনা নেহওয়ালরা।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় ভারতের বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। এতে বাহিনীর ৪৪ জওয়ান নিহত হন।