মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
১৭০ টাকা মজুরি দিয়ে বাগান পরিচালনা করতে পারবে না, কর্তৃপক্ষের এমন ঘোষণায় কাজে যোগ দেননি মৌলভীবাজারের লংলাভ্যালির ঢালুছড়া বাগানের শ্রমিকরা। রবিবার (২৮ আগস্ট) সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার মধ্যবর্তী ঢালুছড়া চা বাগানে এমন ঘটনা ঘটেছে।
শ্রমিকরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ১৭০ টাকা মজুরি দিতে হবে। অন্যদিকে, বাগান মালিক কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের কাছে লিখিত কোনো চুক্তিনামা না আসলে মজুরি বাড়ানো হবে না।
জানা গেছে, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া লংলাভ্যালির ৩২৫ একর জমিতে ব্যক্তিমালিকানায় ঢালুছড়া চা বাগানটি গড়ে উঠেছে। এই বাগানে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ৮০ চা-শ্রমিক রয়েছেন। বাগান থেকে বছরে ৮০/৯০ হাজার কেজি চা পাতা তোলা হয়। বাগানের নিজস্ব কোনো ফ্যাক্টরি নেই। তাই বাইরে থেকে প্রক্রিয়াজাত করে ২০ হাজার কেজির মতো চা উৎপাদিত হয়।
বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি বর্মা মৃধা বলেন, আগে থেকেই কর্তৃপক্ষ ব্যাক্তি মালিকানাধীন বাগানের অজুহাত দেখিয়ে আমাদের ৯৯ টাকা মজুরি দেয়। অথচ সব বাগানে ১২০ টাকা দৈনিক মজুরি চলে আসছে। এদিকে, শনিবার (২৭ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী চা-শ্রমিকদের ১৭০ টাকা মজুরির ঘোষণা দিলেও তা দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে মালিকপক্ষ। তাই আমরা কাজে যাইনি।
লংলাভ্যালির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, লংলাভ্যালিতে কিছু বাগান আছে যেগুলোতে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। সেই বাগানগুলোর শ্রমিকরা আজ কাজে যাওয়ার কথা। অন্য বাগানগুলোতে রবিবার ছুটির দিন হলেও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় নিয়ম অনুযায়ী নগদ পরিশোধের ভিত্তিতে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেছে। তবে ঢালুছড়া বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেনি। বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে।
ঢালুছড়া বাগানের ম্যানেজার শুধাংশু দত্ত বলেন, এই বাগান ৩২৫ একর ভূমির ওপর অবস্থিত। ব্যক্তিমালিকানাধীন বাগানে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ৮০ জন শ্রমিক রয়েছেন। বছরে ৮০/৯০ হাজার কেজি চা পাতা উত্তোলন করা হয়। বাগানের নিজস্ব কোনো ফ্যাক্টরি নেই। বাইরে থেকে প্রক্রিয়াজাত করে ২০ হাজার কেজি চা উৎপাদন করা হয়।
তিনি বলেন, নিজের পকেটের টাকা দিয়েই মালিকপক্ষ বাগান পরিচালনা করে। ১৭০ টাকা মজুরি দিয়ে এই ছোট বাগান পরিচালনা করা কঠিন হবে। তাই আমরা শ্রমিকদের বলেছি, লিখিত চুক্তিনামা হাতে আসার পর বেতন বাড়ানো হবে। তোমরা আপাতত কাজে যোগদান করো।