নগরীতে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রদলের ৪ জন কারাগারে

26

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের ছাত্রদলের মিছিল থেকে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসম্বলিত ব্যানার-বিলবোর্ড ভাঙচুরের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গত সোমবার তাদের গ্রেফতার এবং গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ। তিনি বলেন- গ্রেফতার হওয়া চারজনই ছাত্রদল নেতা। তবে এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ কোনো মামলা দায়ের করেনি। তাই ৫৪ ধারায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
কারাগারে যাওয়া চারজন হলেন- ইশতিয়াক আহমদ রাজু, বদরুল ইসলাম নজরুল, মিলাদ আহমদ ও রাজীব আহমদ।
গত রবিবার রাত ৯ টার দিকে সিলেট মহানগরের আম্বরখানা বড়বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক নেতা আ ফ ম কামাল। এ হত্যার প্রতিবাদে রাত ১১ টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। লাঠিসোটা নিয়ে এই মিছিলে অংশ নেন অনেকে।
মিছিল থেকে সিলেট ও জেলা ও আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভা উপলক্ষে মহানগরের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত তোরণ ও ব্যানার-ফেস্টুন ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া সিলেট জেলা ও আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভাস্থল রিকাবীবাজার এলাকার কবি নজরুল অডিটরিয়ামে নির্মিত বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিসম্বলিত বিলবোর্ড ভাঙচুর করা হয়। রিকাবীবাজারের কাজী নজরুল অডিটোরিয়ামে রোববার সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সোমবার ছিলো জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভা। সেজন্য রিকাবিবাজার পয়েন্টসহ আশপাশে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবিসম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন ও বিলবোর্ড টানিয়েছিলেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এসব ব্যানার-ফেস্টুন ও বিলবোর্ড সেদিন রাতে ভাঙচুর করা হয়।
এদিকে, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদলকে ধাওয়া দেন। দুপক্ষের মাঝে বেশ কয়েকবার ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে এসময়। এছাড়াও এসময় কয়েকটি দোকানের শাটার ও একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করা হয়। একটি মোটরসাইকলেও আগুন দিয়ে পুড়ানো হয় এসময়। খবর পেয়ে দ্রুত কোতোয়ালি থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই চার ছাত্রদল নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।