সিলেটে আবারও বিভিন্ন সিএনজি স্টেশন বন্ধ, তীব্র জ্বালানি সংকট

4
সিলেটে আবারও বিভিন্ন সিএনজি স্টেশন বন্ধ, তীব্র জ্বালানি সংকট

সিলেট বিভাগের অধর্শতাধিক সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিক ক্ষুব্ধ। জালালাবাদ গ্যাস কর্তপক্ষের আচরণের কারণে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি জানিয়েছেন জেলা প্রশাসককেও। ইতিমধ্যে তারা সার্বিক বিষয়টি অবগত করে চিঠি দিয়েছেন। সিএনজি পাম্পের মালিকরা জানিয়েছেন- সড়কে গাড়ি বেড়েছে। সবাইকে গ্যাস দিতে হচ্ছে। এই অবস্থায় বারবার গ্যাসের লোড বাড়ানোর জন্য আর্জি জানালেও বিষয়টি নজরে আনা হচ্ছে না। এখন লোড বাড়ানোর অজুহাতে পাম্প বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। গত কয়েকদিনে সিলেটের বিভিন্ন সিএনজি স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আগামী দু’একদিনের মধ্যে আরো কয়েকটি বন্ধ করা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন -বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্শন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগের সভাপতি আমিরুজ্জামান চৌধুরী। বুধবার তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে মের্সাস মনোয়ার সিএনজি, মের্সাস সুরমা অটো কেয়ার, শিবগঞ্জ। মের্সাস ইনডিপেনডেন্স সিএনজিথ ঘোপাল, মের্সাস আখালিয়া সিএনজি, মের্সাস হাজী ইউসুফ আলী সিএনজি, সিলেট আরও বন্ধের উপক্রম সবগুলো সিএনজি ফিলিং স্টেশন, আলআমিন সিএনজি, মের্সাস সুশাসান সিএনজি।
তিনি বলেন, গত ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়। এ সভায় বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনর্ভাসন ওয়ার্কশপ ওর্নাস এসোসিয়েশন, সিলেট বিভাগের নেতৃবৃন্দ সিএনজি ফিলিং স্টেশন ব্যবসায় বিরাজমান সুবিধা অসুবিধা সমূহ লিখিতভাবে জেলা প্রশাসকের কাছে তুলে ধরেন এবং এসব সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা কামনা করেন নেতৃবৃন্দ। সভায় সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান বলেন, জ্বালানী খাত সরকারের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত। এ খাতের সাথে জড়িত সিএনজি স্টেশন মালিকদের সুবিধা-অসুবিধা দেখা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি সিএনজি স্টেশন মালিক এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ কর্তৃক উত্থাপিত সমস্যাসমূহ সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। সিলেটের সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকগণ গ্যাসের অনুমোদিত লোড বৃদ্ধির জন্য জালালাবাদ গ্যাস, পেট্টো বাংলাসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দীর্ঘদিন থেকে দাবী জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে অতিরিক্ত গ্যাস বিক্রির কারণে বিভিন্ন সিএনজি স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন দেয়া হচ্ছে। যার জন্য সিলেট সহ সারাদেশের সিএনজি স্টেশন মালিকগণ খুবই উদ্বিগ্ন ও হতাশ। তাই তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সহযোগিতা কামনা করেন। আমিরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমরা পেট্রোবাংলার নির্দেশানুযায়ী প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত গ্যাস বিক্রি বন্ধ রাখি। কিন্তু দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানী চাহিদার কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লোডের অতিরিক্ত গ্যাস বিক্রয় করতে হয়। গ্যাসের অনুমোদিত লোড বৃদ্ধির জন্য আমরা জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ বরাবরে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন জানিয়ে আসছি কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোন সুরাহা পাইনি আমরা। উপরন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত গ্যাস বিক্রির জন্য সিএনজি স্টেশনগুলোর গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। যা মোটেও কাম্য নয়। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সহযোগিতা কামনা করেন তিনিও। তিনি বলেন, আমরা পররাষ্টমন্ত্রী, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে বিষয়টি জানিয়েছে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন একটি (ডিও) পত্রও পাঠিয়েছেন জ¦ালানি প্রতিমন্ত্রীকে। কিন্তু কোন সুষ্ঠু সমাধান পাইনি। এখন আমরা আর কোন ধরনের বড় পদক্ষে নিতে চাইনা, তিনি বলেন ভোক্তাদের উপর বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছি। (খবর সংবাদদাতার)