স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর শাহজালাল উপশহরে বোরকা পরে বাসায় ঢুকে এক মহিলাকে গলায় ছুরা ধরে জিম্মী করার অভিযোগে গণধোলাই খেয়েছেন নাসির আহমদ তাপাদার (৩৬) নামের এক যুবক। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে ওসমানীতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। নাসির জকিগঞ্জ উপজেলার উত্তরকূল এলাকার আব্দুল হান্নানের পুত্র। গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে নগরীর উপশহরের জে ব্লকের ১৬ নং বাসায় এ ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ জানায়, রবিবার সন্ধ্যার দিকে নগরীর শাহজালাল উপশহরের জে ব্লকের ১৬ নং বাসায় বোরকা পরে এক যুবক চুরির চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা টের পেয়ে তাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে আমাদের খবর দেন। পরে আমরা এসে তাকে আটক করে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করি। বর্তমানে সে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী বাবুল বৈদ্য জানান, রবিবার বিকেলে রাস্তা দিয়ে যাবার পথে হঠাৎ বোরকা পড়া একজন লোক আনারস হাতে ওই বাসায় প্রবেশ করতে দেখে সন্দেহ হয়। পরে ভেতরে প্রবেশ করে বাসার ৪ তলায় গিয়ে বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে দেখতে পান বোরকা পড়া ওই লোক তাদিয়া তাবাসসুম ফারিয়া (২৭) নামের এক মহিলারগলায় চাকু ধরে বসে আছে। তিনি আরও কয়েকজনকে নিয়ে ওই মহিলাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে তিনি সহ আরও একজন সামান্য আহত হন। পরে অনেক চেষ্টায় ওই মহিলাকে উদ্ধার ও বোরকা পড়া ওই লোককে আটক করতে সক্ষম হন। পরে তারা তাকে পুলিশে দেন। তবে আটককৃত যুবক নাসির আহমদ তাপাদারকে পরে তাদের বোনের স্বামী হিসেবে সনাক্ত করেছেন ভিকটিম তাদিয়া তাবাসসুম ফারিয়া। তিনি জানান, আটককৃত যুবক নাসির আহমদ তাপাদার তাদের বোনের স্বামী। তবে কী কারণে তিনি ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন তা তারা বলতে পারছেন না।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিম বলেন, ওই যুবক বোরকা পরে নারী সেজে বাসায় ঢুকে ডাকাতির চেষ্টাকালে তাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, ওই যুবক বোরকা পরে বাসার কলিং বেল চাপে। বাসার এক নারী দরজা খুলতেই তার গলায় ছুরি ধরে সে। তখন বাসার আরেক নারী ঘটনাটি দেখতে পেয়ে একটি কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন এবং জানালা দিয়ে চিৎকার করে লোকজনকে বলেন, বাসায় ডাকাত ঢুকেছে। তখন আশপাশের মানুষ এসে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখে খুলে ওই যুবককে বোরকা পরা অবস্থায় ছোরাসহ আটক করে গণধোলাই দেয়। ওসি বলেন, আটক যুবক পুলিশকে জানিয়েছে, তিনি সারপ্রাইজ দিতে ওই বাসায় ঢুকেছিলেন। বাসার লোকজনও বলেছেন, যুবকটি তাদের আত্মীয় হতে পারে। যে কারণে আপাতত তারা মামলা দিচ্ছেন না। তাই ঘটনাটি ডাকাতি, নাকি অন্য কিছু, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।