মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থেকে ২টি কচ্ছপ উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছে বনবিভাগ। গত বুধবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় কচ্ছপগুলোকে উপজেলার স্টুডেন্ট ডরমিটরিতে লেকে অবমুক্ত করা হয়। এর আগে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিগাঁও গ্রামে কিছু চা শ্রমিক প্রতিদিনের মতো জলাশয় থেকে কেচু শিকার করতে যায়। তখন তাদের কাছে এই ছোট দুইটি কেচু ধরা পরে। তখন তারা তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। পরিবারের অন্য সদস্যদের রান্না করে দেওয়ার জন্যও বলে। কিন্তু পাশের বাড়ির একজন শ্রমিকের মাধ্যমে খবর পান বন্যপ্রাণী গবেষক হাসান আল রাজি (চয়ন) ও সহকারী গবেষক চঞ্চল গোয়ালা। তখন তারা কৌশলে সেই বাড়িতে গিয়ে অক্ষত অবস্থায় দুটি কচ্ছপ উদ্ধার করেন। পরে বন বিভাগের সহযোগীতায় কমলগঞ্জের স্টুডেন্ট ডরমিটরিতে লেকে অবমুক্ত করা হয়। এ সময় স্ট্যান্ড ফর আওয়ার এনড্যাঞ্জারড ওয়াইল্ডলাইফ এর সমন্বয়ক সোহেল শ্যাম ও খোকন থৌনাউজম উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী, সুন্ধি কচ্ছপ বা চিতি কচ্ছপ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
স্ট্যান্ড ফর আওয়ার এনড্যাঞ্জারড ওয়াইল্ডলাইফ এর সমন্বয়ক সোহেল শ্যাম বলেন, বন্যপ্রাণী গবেষক হাসান আল রাজি (চয়ন) ও সহকারী গবেষক চঞ্চল গোয়ালাকে ধন্যবাদ দিতে হয়, কেননা তাদের সহযোগীতায় এই দুটি কচ্ছপ প্রান ফিরে পেয়েছে। তবে যারা কচ্ছপ আটক করে ছিল তারা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এর যে আইন করা হয়েছে সে সম্পর্কে তাদের তেমন ধারণা নাই। যেভাবে প্রচার হচ্ছে আরো একটু বড় আকারে গ্রাম গঞ্জে প্রচার করলে বন্য প্রানী আটকের সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাবে। তবে যারা আটক করেছিল তারা খুব সহজ সরল। বলার সাথেই তারা কচ্ছপ বের করে দিয়েছে। পরবর্তীতে তারা এভাবে বাড়িতে ধরে আনবে না বলে বন বিভাগকে জানিয়েছে।
বন্যপ্রানী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজার রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম কচ্ছপ উদ্বারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কমলগঞ্জে ২টি কচ্ছপ উদ্ধার, পরে অবমুক্ত করা হয়।