বঙ্গবন্ধু আর মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস চর্চায় তারুণ্যকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে জেলা পরিষদ, সিলেট-ইনোভেটর বইপড়া উৎসব। মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রায় হাজারো শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে উদ্বোধন হয়েছে এ উৎসবের।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, জেলা পরিষদ, সিলেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেবজিৎ সিংহ, আর টি এম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা যাদব কেউট ও সামচান চাষা।
সভাপতিত্ব করেন ইনোভেটর এর মুখ্য সঞ্চালক, সিটি কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনোভেটর এর নির্বাহী সঞ্চালক প্রণবকান্তি দেব। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইনোভেটর এর যুগ্ম সমন্বয়ক ঈশিতা ঘোষ চৌধুরী এবং সদস্য সৈয়দা আছিয়া খাতুন।
বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী অনিমেষ বিজয় চৌধুরী প্রতীক এন্দ টনি এবং ইনোভেটর এর সমন্বয়ক আশরাফুল ইসলাম অনির পরিচালনায় জাতীয় সংগীত এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় বইপড়া উৎসব এর আয়োজন।
এর আগেই বেলা ২ টা থেকে অনুষ্ঠানস্থলে সিলেটের বিভিন্ন জায়গা থেকে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এসেই উৎসবের নিয়ম অনুযায়ী রিপোর্টিং করতে হয় তাদের। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে একটি করে জাতীয় পতাকা তুলে দেন দায়িত্বে থাকা ইনোভেটর এর সদস্যরা।
ইনোভেটর এর প্রধান সমন্বয়ক প্রভাষক সুমন রায় এবং যুগ্ম সমন্বয়ক প¬পা চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে একদল স্বেচ্ছাসেবক রিপোর্টিং এর দায়িত্ব পালন করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠান এর পর বইপড়া উৎসবে নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের হাতে এ বছরের নির্বাচিত গ্রন্থ, স্কুল শাখায় মুনতাসীর মামুন এর উপন্যাস ‘জয়বাংলা’ এবং কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় শওকত আলীর উপন্যাস ‘যাত্রা’ তুলে দেয়া হয়। এবারের আসরে মোট ৯শ ৯১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। তার মধ্যে স্কুল ও সমমানের মাদ্রাসা পর্যায়ের ৫৩৫ জন এবং কলেজ, øাতক ও সমমান মাদ্রাসার ৪শ ৫৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সিলেট মহানগর ছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকেও শিক্ষার্থীরা এ বছর বইপড়া উৎসব এ যোগ দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তি