বাহুবলের মিরপুর চৌমুহনী এলাকায় ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে চলছে হকারদের ব্যবসা। প্রতিদিন সড়কের প্রায় চার ফুট প্রশস্ত ফুটপাত অবৈধ দখলে। এমনকি রাস্তায়ও দোকানপাট বসছে। ফুটপাত দিয়ে পথচারীরা হাঁটতে পারছেন না। এমনকি রাস্তা দিয়েও চলাফেরা কঠিন। কতিপয় ব্যক্তির যোগসাজশে এখানে দোকান বসছে। ভোগান্তি বাড়ছে পথচারীদের।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মিপুরের গুরুতপূর্ণ স্থান চৌমুহনীতে ব্রিজ সহ রাস্তার কিছু অংশ ও খালি জায়গায় ফলের দোকান, আম, কাঠাল, আনারস, লিচু সহ বেশ কয়েকটি বিভিন্ন ফলের দোকানপাট বসে। ফুটপাতের সামান্য অংশও খালি নেই। ব্রিজের পাশে একটু খালি জায়গা আছে, সেখানেও ভ্যান নিয়ে চা-পানের দোকান বসেছে। সিজানের কাছ থেকে শায়েগঞ্জ সিএনজি স্টেন্ডের আগ পর্যন্ত অবৈধ দোকানপাটের সারি। যেন পুরো বাজার নেমে এসেছে ফুটপাত আর রাস্তায়। ফলে পথচারী ও যানবাহ চলাচলে মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। চৌমুহনী ব্রিজের আশপাশ এলাকা প্রায় হকারদের দখলে। হকাররা দীর্দিন ধরে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রভাবখাটিয়ে এ ব্যবসা করে আসছেন।
স্থানীয়রা জানান, চৌমুহনীর ব্রিজ এলাকায় রয়েছে সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশা চলে। এসব যানবাহনে সড়কে সারাক্ষণ পার্ক করা থাকে। হকারদের কারণে এমনিতেই রাস্তা সংকুচিত হয়ে গেছে, তার ওপর যানবাহন রাস্তার মাঝে এলোমেলো করে পার্ক করা। চালকরা যাত্রী ডাকছেন। এসব অবৈধ যানবাহনের কারণেও এ পথে চলাচল করা দুঃসাধ্য। এসব অবৈধ দোকানপাট ও গাড়ির কারণে সেখানে প্রতিনিয়ত যানজট হয়।
এ নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, পথচারী ও চালকদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হচ্ছে অহরহ। হকাররা স্থানীয় হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেহ কথা বলার সাহস পায় না। ওই সব অবৈধ দোকানপাট-হকার উচ্ছেদ করার জন্য দু-তিনবার সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এর আগে কয়েকবার উচ্ছেদও করা হয়েছে। কিন্তু একদিক থেকে তুলে দিলে আরেক দিকে বসে পড়ে। এ বিষয়ে বাহুবল উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা তালুকদার বলেন, সেখানে ফুটপাত দখল করে অবৈধ দোকানপাটের বিষয়টি নজরে এসেছে খুব শিগগিরই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। (খবর সংবাদদাতার)