কাজিরবাজার ডেস্ক :
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে রুশ পাইপলাইনের ট্রানজিট ফি নিতে পারছে না ইউক্রেন। সে কারণে এবার মিত্র দেশগুলোতেই তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে তারা। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পাইপলাইন কোম্পানি ট্রান্সনেফ্ট গত মঙ্গলবার (৯ আগষ্ট) এ কথা জানিয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হাঙ্গেরি এবং স্লোভাকিয়াও ট্রানজিট ফি ইস্যুতে তেল সরবরাহ বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল, গ্যাস ও কয়লার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ইউরোপ। তবে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর মস্কোর ওপর একঝাঁক নিষেধাজ্ঞা দেয় পশ্চিমারা। জবাবে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেয় রাশিয়া। এতে জ্বালানির দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। এখন হন্যে হয়ে রুশ জ্বালানির বিকল্প খুঁজছে ইউরোপ। এর মধ্যেই মিত্র ইউক্রেন রুশ পাইপলাইন দিয়ে তেলের প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ায় আরও বড় সংকটে পড়লো ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, দ্রুঝবা পাইপলাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় রুট দিয়ে তেল প্রবাহ বন্ধ রয়েছে। তবে পোল্যান্ড-জার্মানিতে তেল পাঠানোর উত্তরাঞ্চলীয় রুটে সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।
পাইপলাইন দিয়ে তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইউরোপের স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি ও চেক প্রজাতন্ত্রের মতো দেশগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ এসব দেশ রুশ জ্বালানির ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল এবং বিকল্প দেশ থেকে জ্বালানি আমদানির সক্ষমতাও অনেক কম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন অল্প সময়ের মধ্যে পরিশোধকদের সমুদ্রপথে তেল আমদানি বাড়াতে হবে। এটি বিকল্প উৎস নিশ্চিত করার কাজকে আরও কঠিন করে তুলবে।
হাঙ্গেরিয়ান জ্বালানি কোম্পানি এমওএল জানিয়েছে, তাদের কাছে কয়েক সপ্তাহের জ্বালানি মজুত রয়েছে এবং তারা একটি সমস্যার সমাধানে কাজ করছে।
এমওএলের তেল পরিশোধক স্লোভনাফ্ট বলেছে, এটি সম্ভাব্য ট্রানজিট ফি প্রদানের বিষয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।
রাশিয়ার ট্রান্সনেফ্ট বলেছে, তারা আগস্ট মাসের তেল পরিবহনের জন্য ইউক্রেনীয় পাইপলাইন অপারেটর ইউকেআরট্রান্সনাফটার কাছে গত ২২ জুলাই অর্থ পাঠিয়েছিল। কিন্তু জমা না হওয়ায় গত ২৮ জুলাই সেটি ফেরত পাঠানো হয়েছে। এরপর গত ৪ আগষ্ট থেকে তেল সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে।
রুশ সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, অর্থপ্রদানের দায়িত্বে থাকা গ্যাজপ্রমব্যাংক জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিধিনিষেধের কারণেই ওই অর্থ ফেরত পাঠানো হয়েছে।