বাজারে এখন চাল, ডাল, তেল, চিনি, সাবান, টুথপেস্টসহ প্রায় সব পণ্যের দাম বেশি। গত মে মাসের পর ডলারের দাম ৮৬ থেকে ১০৮ টাকায় উঠে যাওয়ায় আমদানি করা সব পণ্যের দাম বাড়ছে। এমন অবস্থায় জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি মানুষকে বড় সংকটে ফেলেছে।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে শিল্পপণ্য, কৃষিপণ্য, গণপরিবহন ভাড়াসহ জীবনযাত্রার ব্যয়ে এর সরাসরি ও অনেক বেশি প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে পরিবহন ভাড়ার ক্ষেত্রে কার্যত স্বেচ্ছাচারিতা চলে এবং সরকার এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
ইতোমধ্যে বেড়ে গেছে গণপরিবহনের ভাড়া। গণপরিবহনে ১৬ থেকে ২২ শতাংশ ভাড়া বাড়লেও যাত্রীদের ভোগান্তি কমেনি। যে যেভাবে পেরেছে, যাত্রীদের ‘জিম্মি’ করে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। যাত্রীরা প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না। সরকার অভিযান পরিচালনার কথা বললেও তা চোখে পড়েনি। যাত্রীরা বলছেন, জ¦ালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর সরকার ভাড়া নির্ধারণ করে দেয় ঠিকই, কিন্তু পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা তা মানেন না।
গত নভেম্বরে বাসভাড়া ২৬ শতাংশ বাড়ানোর পর বিআরটিএ জোরালোভাবে বলেছিল, তারা ওয়েবিল বন্ধ করে দিয়ে কিলোমিটার হিসেবে ভাড়া আদায় নিশ্চিত করবে। যারা কথা শুনবে না, তাদের রুট পারমিট বাতিলের হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু এ হুমকি ভুলে গিয়ে কদিন পরই বিআরটিএর অভিযান থেমে যায়।
যে হারে তেলের দাম বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি হারে বর্ধিত বাসভাড়া নেওয়ার যুক্তি নেই। সড়কে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে গণপরিবহনে অযৌক্তিক বর্ধিত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে হবে। অতিরিক্ত ভাড়ার জবরদস্তি থেকে জনসাধারণকে রক্ষার জন্য অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।