হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছে। সংঘর্ষে পুলিশসহ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ২টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ তুষার, ছাত্রদল নেতা সাইদুর রহমানকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সমাবেশে অংশ নিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জয়নুল আবদীন ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত হন। বেলা ২টার কিছু আগে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে রওনা হন। পথে শায়েস্তানগর পয়েন্টে তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার ড. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘সমাবেশে নেতাকর্মীরা আসার পথে পুলিশ বাধা দেয়। এতে তাদের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সমাবেশ পণ্ড করার জন্য পুলিশ উসকানিমূলকভাবে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে।’ তিনি দাবি করেন, পুলিশের গুলি ও হামলায় অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জিকে গউছ দাবি করেন, পুলিশ সমাবেশ পণ্ড করতে সকাল থেকেই তাদের প্যান্ডেল গুঁড়িয়ে দিয়েছে। জেলা বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজা আক্তার শিমুল জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় তাদের সাত-আট জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।