জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে বিপন্ন করেছে – সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট

7
জ¦ালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ।

জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। (৯ আগষ্ট) মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টায় আম্বরখানাস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার আহবায়ক আবু জাফর এর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক প্রনব জ্যোতি পাল এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মনজুর আহমদ, হারুন মিয়া, ইউসুফ আলী, ইমদাদুল হক, শুক্কুর আলী,শহীদ মিয়া জাবেদ আহমদ মুন্না আহমদ, ইমরান আহমদ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি, বিপিসির লোকসান, ভর্তুকি দিতে সরকারের অক্ষমতা এবং তেল পাচারের দোহাই দিয়ে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও শ্রমজীবীদের উপর নিপীড়নের সামিল। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম এখন উন্নতির দিকে। ক্রড অয়েলর যে দাম এখন ৯৫ ডলার এ বছর শেষে তা ৮০ ডলারের নিচে নামতে পারে বলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। সরকার গত ১২ বছরে অলস বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ৮৬ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা প্রদান করেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ১০ টি শীর্ষ বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানীকে ৪৪ হাজার৬৪০ কোটি টাকা দিয়েছে বলে পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। শুধু গত মার্চ মাস পর্যন্ত ৯ মাসে পর্যন্ত ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এভাবে বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদেরকে ভর্তুকি দিয়ে বাড়তি দামের বোঝা জনগণের উপর চাপানো হচ্ছে। তেলের দামের প্রভাবে কৃষি ও শিল্প উৎপাদন, খাদ্য পণ্য, পরিবহণ খরচ, বিদ্যুৎ, পানি সহ সকল খাতে খরচ বহুগুণ বেড়ে যাবে।
নেতৃবৃন্দ জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষনা, বিভিন্ন সেক্টরে নতুন মজুরি বোর্ড গঠন, শ্রমজীবীসহ সকল সাধারন মানুষের জন্য রেশন ব্যবস্থা চালু ব্যাটারি চালিত যানবাহনের হয়রানি বন্ধ করা, নির্মাণ শ্রমিকদের বাজার মূল্যের সাথে সঙ্গতি রেখে মজুরি নির্ধারণ করার আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি