অপূর্ব বাংলাদেশ :
দু’চোখের চাওয়া যেন অতৃপ্ত না হয়
মুখয়ব যেন বিবর্ণ না হয়।
বসুন্ধরার বুকে, অপরূপ সুখে থাকার মায়াবী বঙ্গ,
আমার প্রিয়জন, সঙ্গ দেয় আমার প্রতিক্ষণ।
কি দারুণ চাওয়া চাই চোখ আমার!
দেখে দেখে
ছবি এঁকে
পূর্ণ আশার
ভালোবাসার
কি দারুণ খাওয়া খাই চোখ আমার।
শিশু যুবা বৃদ্ধ সকল জনের
দ্বীপ্তি আলোয় তৃপ্তি মিটায় মনের।
যেদিকে তাকাই রাশি রাশি
শ্যামল মুখের অপূর্ব হাসি।
দোল খাওয়ানো বাতাসের সবুজ পাতার ঢেউ,
দেখি আমি ফুল ফসলের নাচানাচি কেও।
আপন মনে ফড়িং দল অনায়াসে নৃত্য করে,
রবির আলোয় ভালোয় যেন মুক্ত ঝরে।
মমতার মায়া, শুধু মায়া চারিদিকে।
পাখির গুঞ্জনে মুখোর বৃক্ষের সারাবেলা কাটে।
ক্লান্তি নেই, শান্তির পালকে ভাসা।
ভুখ-ের বুকে, সুখে আছে নদী জল
সাগর অতল।
হাঁসের বসবাস, মাছের আবাস।
তীরে ফিরে ফিরে প্রকৃতির আলিঙ্গনে
নয়ন আমার একাকার।
মাঠে মাঠে ঘাস, কৃষকের চাষ
প্রাণ জুড়ানো ঘ্রাণ কুড়ানো
স্বাধীন সুবাতাসের মন মাতানো
লাল সবুজের বাংলাদেশ।
রুপ লাবন্যে অরণ্যে সজ্জিত।
অবিরাম নয়োনভিরম অম্লান বদন,
মুক্তিকামী মানুষের ঘামে ভেজা শরীর
দরদর করে অশ্রু গড়ানো
একাত্তরে লাল লাল রক্তে কেনা
বাঙালির চিরচেনা সদন
অপূর্ব বাংলাদেশ।