এয়ারপোর্ট থানা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ॥ সম অধিকার, সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে হবে

3
সিলেট মহানগরের আওতাধীন এয়ারপোর্ট থানা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মলয় পুরকায়স্থ।

সম অধিকার, সম মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার (২২ জুলাই) দুপুরে সংগঠনের সিলেট মহানগরের আওতাধীন এয়ারপোর্ট থানা সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন রাখতে গিয়ে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ এই মন্তব্য করেন। এ সময় নেতৃবৃন্দ সম অধিকার সম মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করলে বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এয়ারপোর্ট থানা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক জিডি রুমুর সভাপতিত্বে আয়োজিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মলয় পুরকায়স্থ, থানা সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মহানগর সভাপতি এডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দেব, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা পূজা উদাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোপিকা শ্যাম পুরকায়স্থ, মহানগর সভাপতি সুব্রত দেব, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ মহানগর সহ সভাপতি ডিকন নিঝুম সাংমা, পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, মহানগর ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুল দেব, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট দেবব্রত চৌধুরী লিটন, ঐক্য পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার অন্যতম নেতা রেবারেন্ট ফিলিপ সমাদ্দার, ছাত্র ঐক্য পরিষদ সিলেট মহানগর সভাপতি রকি দেব, বক্তব্য রাখেন এয়াপোর্ট থানা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব লিটন দেব।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হরেন্দ্র মহাপাত্র, কানাই বাবু, নান্টু বাবু, বাপ্পী দাস, লিটন দেবনাথ, বিমল গঞ্জু, জয় মাহতি কুর্মি, মিলন উরাং প্রমুখ।
সম্মেলনে বক্তারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- নড়াইলের সাহাপাড়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের শাস্তির দাবি, সম্প্রতি শিক্ষক হত্যা ও লাঞ্চনার যথাযথ বিচার দাবী, দেশে পূর্বে যে সমস্ত সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটেছিল এগুলোর যথাযথ বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা উৎসাহিত হচ্ছে বিধায় এই সাম্প্রদায়িক নির্যাতন-নিপীড়ন বেড়েই চলছে, বাজেটে বরাদ্দ সমান হয় না বিধায়, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান ফাউন্ডেশন গঠন করা, ২০১৮ সালের নির্বাচনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে। সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে। বৈষম্য বিলোপ আইন প্রনয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যাবর্তন আইনের পূর্ণ বাস্তবায়ন, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের আলাদা ভূমি কমিশন গঠন। বিজ্ঞপ্তি