মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। খানার সদস্যদের সাথে কথা বলছেন। স্মার্ট ট্যাবে তথ্য নিয়ে সার্ভারে পাঠাচ্ছেন। তথ্য সংগ্রহে কোন ভুল হওয়ার সুযোগ নেই। রয়েছে সংশোধনের সুযোগও। এবারই প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এই শুমারি। ইতিমধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় চার হাজার গণনাকারী কাজ শুরু করেছেন।
বুধবার (১৫ জুন) ষষ্ঠ জনশুমারী ও গৃহগণনা-২০২২ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন করেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জিয়াউর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপ-পরিচালক নন্দিনী দেব,জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন মাসুদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো সূত্রে জানা যায়, শুমারি শুরুর আগে ১৪ জুন রাত ১২টা থেকে শুমারি রেফারেন্স পয়েন্ট/সময় হিসেবে ধার্য করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি কার্যক্রম পরিচালিত হতে যাচ্ছে। একটি ওয়েবভিত্তিক ইনটিগ্রেটেড সেনসাস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইসিএমএস) প্রস্তুতসহ জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমে (জিআইএস) গণনা এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের কন্ট্রোল ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে।
জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে শুমারী কর্মী হিসেবে মৌলভীবাজার জেলায় ৩ হাজার ৯১৪ গণনাকারী, ৬ শত ৯৬ জন সুপারভাইজারসহ বিবিএসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ প্রক্রিয়ার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছেন।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের গণনাকারী নাইমা আফরীন বলেন, দেশের এই বৃহৎ কার্যক্রমে অংশীদার হতে পেরে নিজে গর্ববোধ করছি। চেষ্টা করব সকল খানার সঠিক তথ্য তুলে আনতে।
মৌলভীবাজার পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপ পরিচালক নন্দিনী দেব বলেন, ১৫ জুন হতে ২১ শে জুন সারাদেশের ন্যায় মৌলভীবাজার জেলায়ও জনশুমারি ও গুহগণনা ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণনাকারীরা জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংখ্যার তথ্য, বাসগুহের সংখ্যা, বাসগৃহের ধরণ, আর্থ-সামাজিক অবস্থা, প্রবাসীর সংখ্যা, বিদেশী নাগরিকের সংখ্যা, মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ইত্যাদি বিষয় ট্যাবের মাধ্যমে সংগ্রহ করছে। মৌলভীবাজার জেলায় মোট ৩ হাজার ৯১৪ জন গণনাকারী এবং ৬শত ৯৬ জন সুপারভাইজার নিয়োজিত আছেন। আইটি সহায়তার জন্য প্রতি জোনে একজন আইটি সুপারভাইজার নিয়োগ দেয়া হয়েছে যারা পলিটেকনিক অথবা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে কম্পিউটার, ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং এসব বিষয়ে পাশ বা অধ্যয়নরত।
উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে প্রথম আদমশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ বছর পর পর ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ ও ২০১১ সালে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ এবং পঞ্চম আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়। এবার ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা।