শ্রীমঙ্গল চা গবেষণা ইনস্টিটিউটে দ্বিতীয় জাতীয় চা দিবস পালিত

11

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
জাতীয় চা দিবসে এবারের জাতীয় চা দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘চা দিবসের সংকল্প, সমৃদ্ধ চা শিল্প, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দ্বিতীয় জাতীয় চা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়।
১৯৫৭ সালের ৪ জুন প্রথম বাঙালি হিসেবে তৎকালীন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ১৯৫৮সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তিনি চা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালে এবং স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে চা শিল্পে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দেশে দ্বিতীয় ৪ জুন চা দিবস পালিত হয়েছে।
(৪জুন) শনিবার দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১১টায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে পিডিইউ কার্যালয় থেকে এক শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রা শেষে চা প্রদর্শনী উদ্ধোধন করা হয়। চা প্রদর্শনীতে বিভিন্ন ধরনের চা তুলে ধরা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সনদ্বীপ তালুকদার, মৌলভীবাজার সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ সার্কেল) শহিদুল হক মুন্সি প্রমুখ। পরে চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট মিলনায়তনে রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় চা দিবসে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো.আব্দুল আজিজ এর সভাপতিত্বে ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শেফালী বুনার্জী পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তানিয়া সুলতানা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশন সিলেট ব্রাঞ্চের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী।
চা দিবসে চা গবেষণা কেন্দ্রের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন চা বাগানের চা প্লান্টারগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো.আব্দুল আজিজ বলেন, এ পর্যন্ত ২৩টি উচ্চফলনশীল জাতের ক্লোন অবমুক্ত করা হয়েছে। চা দিবসে শনিবার খরাসহিষ্ণু ও উন্নত ফলনের আরও ৫টি ক্লোন অবমুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশন সিলেট ব্রাঞ্চের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী বলেন, ১৯৫৭ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চা বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেন। চা শিল্পে তাঁর অবদান থাকায় এবং তাকে স্মরণ করতে গতবছরের ন্যায় এবছরও জাতীয় চা দিবস পালন করেছি।
প্রসঙ্গত,১৮৫৪ সালে সর্বপ্রথম সিলেটের মালনীছড়া চা বাগানে বাণিজ্যিকভাবে চা উৎপাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশে চা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। তবে চা শিল্পে সাফল্য আসে ১৯৫৭ সাল থেকে।
জাতির পিতা এ সময় চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালন করায় চা শিল্পের উন্নয়নে তার দিক নির্দেশনায় ১৯৫৭ সালে শ্রীমঙ্গলে চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ঢাকার মতিঝিলে চা বোর্ডের কার্যালয় স্থাপিত হয়। তাই চা শিল্পে জাতির পিতার অবদান এবং চা বোর্ডে যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় রাখতে ২০২০ সালের ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪ জুনকে জাতীয় চা দিবস ঘোষণা করা হয় এবং প্রতিবছর পালনের সিদ্ধান্ত হয়।