স্পোর্টস ডেস্ক :
পিওর ক্লাস যাকে বলে! টি-টোয়েন্টি মানেই যে শুধু স্ট্যাম্প ছেড়ে দিয়ে সজোরে ব্যাট হাঁকানো নয়, নয়নজুড়ানো ব্যাটিং দিয়েও দেড়শ স্ট্রাইকরেটে বড় ইনিংস খেলা সম্ভব, সেটি আরও একবার দেখালেন পাকিস্তানের বাবর আজম।
লক্ষ্য ১৯৬ রানের। টি-টোয়েন্টিতে যেটা বেশ চ্যালেঞ্জিংই। তবে বাবর আজম যেভাবে খেললেন, তাতে পাকিস্তান সুপার লিগে শনিবার চ্যালেঞ্জটা আর পোহাতে হলো না করাচি কিংসকে। বরং ৭ উইকেট আর ৭ বল হাতে রেখে মুলতান সুলতানসের ছুড়ে দেয়া কঠিন লক্ষ্য সহজেই তাড়া করে ফেলেছে দলটি।
দারুণ ব্যাটিং করেছেন বাবর। ৫৬ বলে নিজের প্রথম ৭৫ রান তুলতে বড় কোনো ঝুঁকি নেননি, আবার স্ট্রাইকরেটটাও ঠিক রেখেছিলেন। ১১টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে এই রানে পৌঁছান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ১৮ ওভার তখন শেষ, শেষ দুই ওভারে করাচির দরকার মাত্র ১৪।
দলের জয় যখন বলতে গেলে নিশ্চিত, তখনই চড়াও হলেন বাবর। সোহেল খানের করা ইনিংসের ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে হাঁকালেন ছক্কা। পরের দুই বলে টানা দুই বাউন্ডারিতে শেষই করে দিলেন ম্যাচ।
বিজয়ীর বেশে বাবর মাঠ ছেড়েছেন ৬০ বলে ৯০ রানের ইনিংস সঙ্গে নিয়ে, যে ইনিংসের পাশে লেখা ১৩টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা। শুধু বাবরই অবশ্য নন। করাচির বড় রান তাড়ায় বড় অবদান ছিল ইংলিশ জো ক্লার্কেরও। ২৬ বলে ৩ চার আর ৪ ছক্কায় ৫৪ রান করে জয়ের রাস্তা অনেকটাই সহজ করে দেন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে বাবরের সঙ্গে ইংলিশ এই ব্যাটসম্যানের জুটিটি ছিল ৯৭ রানের। ক্লার্ক যখন আউট হন, করাচির রান তখন ২ উইকেটে ১৫৩। বাকি কাজটা সেরেছেন বাবর, প্রতিপক্ষকে কোনো ধরনের সুযোগ না দিয়েই।
এর আগে টপঅর্ডারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটে ১৯৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল মুলতান সুলতানস। তাদের ওপরের সারির চার ব্যাটসম্যানই রান করেছেন। মোহাম্মদ রিজওয়ান ৩২ বলে ৪৩, ক্রিস লিন ১৪ বলে ৩২, জেমস ভিন্স ২৯ বলে ৪৫ করে আউট হন। সোহাইব মাকসুদ ২৭ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।