দেশে চলছে রকমারি রসালো ফলের ভরা মৌসুম। তবে সবার ওপরে আম। কাঁঠাল জাতীয় ফল হলেও সর্বাধিক জনপ্রিয় সুস্বাদু রসালো মধুর রসে জারিত আম। গাছ থেকে আম পাড়ার মৌসুম শুরু হয়েছে বৈশাখের শেষে। পুরোদমে শুরু হয় জ্যৈষ্ঠ মাসে। চলে আশ্বিন পর্যন্ত, যা পরিচিত আশ্বিনা নামে। বিভিন্ন জাতের আম পাকে বিভিন্ন সময়। সবার আগে গুটি আম। এই আমে মিষ্টত্ব কম, স্বাদে টক, আঁশযুক্ত। মূলত শিশুদের কাছেই জনপ্রিয় বেশি। এরপর বাজারে আসে প্রথমে সাতক্ষীরা এবং অনতিপরেই রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া-হিমসাগর-ফজলি এবং রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা। এগুলো স্বাদে-গুণে-মানে ও শ্রেষ্ঠত্বে সেরা। অধুনা জিআই তথা ভৌগোলিক বিন্যাসে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের মধ্যে লড়াই হয়েছে ফজলি আমের স্বত্ব নিয়ে। তবে জিতে গেছে উভয়পক্ষই। বাগানচাষীরা পরিকল্পিতভাবে আমের আবাদ করলেও অধিকাংশই তারা বিক্রি করে দেন মধ্যস্বত্বভোগী তথা ফড়িয়াদের হাতে। ফড়িয়ারা বেশি মুনাফার আশায় আমগাছে বালাইনাশক ও রাসায়নিক মিশিয়ে আগে-ভাগে আম পাড়ার অপচেষ্টা চালায়। বলাবাহুল্য, এসব আম স্বাদেগুণে মানসম্মত নয়। তদুপুরি বিষযুক্ত। ইদানীং রাজধানী ও দেশের অন্যত্র এগুলোই পাওয়া যাচ্ছে। গাছপাকা তথা সুপক্ব না হওয়ার ফলে এসব আমের স্বাদ-গন্ধ গুণ ও মান তেমন ভাল হয় না। ফলে, প্রতারিত হয় ভোক্তাসাধারণ। অধুনা আম পরিপক্বসহ স্বাদ, গুণ ও মান অক্ষুণ্ন রাখার জন্য ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এসব আম রফতানি হচ্ছে বিদেশেও। তবে ফ্রুট ব্যাগ দেশে উৎপদিত হয় না। আমদানি করা হয় চীন থেকে। প্রতিটির দাম তিন টাকা। এর ওপর দিতে হয় ভ্যাট। ফলে স্বভাবতই দাম পড়ে বেশি। আমচাষীরা ফ্রুট ব্যাগ আমদানির ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তদুপরি দেশেই ফ্রুট ব্যাগ উৎপাদন করা বাঞ্ছনীয়। কেননা, সাধারণ প্রযুক্তির সাহায্যে কাগজ দিয়ে সহজেই ফ্রুট ব্যাগ উৎপাদন করা সম্ভব। ফলে আগামীতে এর ব্যবহার আরও বাড়বে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের খবর, দেশে বর্তমানে ফলের আবাদ হয় ৭ লাখ ২৬ হাজার হেক্টরে। এর মধ্যে কেবল আমের হিস্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার হেক্টর। তবে আম-কাঁঠালের আবাদ প্রধানত পরিকল্পিত ও বাগানভিত্তিক। তদুপরি নানা জাতের নানা স্বাদের রসালো লোভন ও তৃপ্তিকর। আম বাংলাদেশকে পরিচিত করে তুলেছে বহির্বিশ্বে। যেমন হয়েছে ইলিশের ক্ষেত্রে। এর পাশাপাশি আমবাগান এখন উত্তরবঙ্গের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জেলায়। গত কয়েক বছর ধরে আম শুধু প্রদর্শনীতেই সীমাবদ্ধ থাকছে না, বরং আম নিয়ে শুরু হয়েছে কূটনীতি। প্রতিবছর সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোসহ মধ্যপ্রাচ্যে আম পাঠানো হয় উপহার হিসেবে। তবে এক্ষেত্রে আরও অনেকটাই করার আছে। সেজন্য আমসহ অন্যান্য ফলের রক্ষণাবেক্ষণ এবং এর বহুমুখী ও বহুবিধ ব্যবহারের পথ উন্মুক্ত করতে হবে গবেষণা ও প্রক্রিয়াজাত শিল্পকারখানা স্থাপনের মাধ্যমে।
দেশে চলছে রকমারি রসালো ফলের ভরা মৌসুম। তবে সবার ওপরে আম। কাঁঠাল জাতীয় ফল হলেও সর্বাধিক জনপ্রিয় সুস্বাদু রসালো মধুর রসে জারিত আম। গাছ থেকে আম পাড়ার মৌসুম শুরু হয়েছে বৈশাখের শেষে। পুরোদমে শুরু হয় জ্যৈষ্ঠ মাসে। চলে আশ্বিন পর্যন্ত, যা পরিচিত আশ্বিনা নামে। বিভিন্ন জাতের আম পাকে বিভিন্ন সময়। সবার আগে গুটি আম। এই আমে মিষ্টত্ব কম, স্বাদে টক, আঁশযুক্ত। মূলত শিশুদের কাছেই জনপ্রিয় বেশি। এরপর বাজারে আসে প্রথমে সাতক্ষীরা এবং অনতিপরেই রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া-হিমসাগর-ফজলি এবং রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা। এগুলো স্বাদে-গুণে-মানে ও শ্রেষ্ঠত্বে সেরা। অধুনা জিআই তথা ভৌগোলিক বিন্যাসে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের মধ্যে লড়াই হয়েছে ফজলি আমের স্বত্ব নিয়ে। তবে জিতে গেছে উভয়পক্ষই। বাগানচাষীরা পরিকল্পিতভাবে আমের আবাদ করলেও অধিকাংশই তারা বিক্রি করে দেন মধ্যস্বত্বভোগী তথা ফড়িয়াদের হাতে। ফড়িয়ারা বেশি মুনাফার আশায় আমগাছে বালাইনাশক ও রাসায়নিক মিশিয়ে আগে-ভাগে আম পাড়ার অপচেষ্টা চালায়। বলাবাহুল্য, এসব আম স্বাদেগুণে মানসম্মত নয়। তদুপুরি বিষযুক্ত। ইদানীং রাজধানী ও দেশের অন্যত্র এগুলোই পাওয়া যাচ্ছে। গাছপাকা তথা সুপক্ব না হওয়ার ফলে এসব আমের স্বাদ-গন্ধ গুণ ও মান তেমন ভাল হয় না। ফলে, প্রতারিত হয় ভোক্তাসাধারণ। অধুনা আম পরিপক্বসহ স্বাদ, গুণ ও মান অক্ষুণ্ন রাখার জন্য ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এসব আম রফতানি হচ্ছে বিদেশেও। তবে ফ্রুট ব্যাগ দেশে উৎপদিত হয় না। আমদানি করা হয় চীন থেকে। প্রতিটির দাম তিন টাকা। এর ওপর দিতে হয় ভ্যাট। ফলে স্বভাবতই দাম পড়ে বেশি। আমচাষীরা ফ্রুট ব্যাগ আমদানির ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তদুপরি দেশেই ফ্রুট ব্যাগ উৎপাদন করা বাঞ্ছনীয়। কেননা, সাধারণ প্রযুক্তির সাহায্যে কাগজ দিয়ে সহজেই ফ্রুট ব্যাগ উৎপাদন করা সম্ভব। ফলে আগামীতে এর ব্যবহার আরও বাড়বে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের খবর, দেশে বর্তমানে ফলের আবাদ হয় ৭ লাখ ২৬ হাজার হেক্টরে। এর মধ্যে কেবল আমের হিস্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার হেক্টর। তবে আম-কাঁঠালের আবাদ প্রধানত পরিকল্পিত ও বাগানভিত্তিক। তদুপরি নানা জাতের নানা স্বাদের রসালো লোভন ও তৃপ্তিকর। আম বাংলাদেশকে পরিচিত করে তুলেছে বহির্বিশ্বে। যেমন হয়েছে ইলিশের ক্ষেত্রে। এর পাশাপাশি আমবাগান এখন উত্তরবঙ্গের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জেলায়। গত কয়েক বছর ধরে আম শুধু প্রদর্শনীতেই সীমাবদ্ধ থাকছে না, বরং আম নিয়ে শুরু হয়েছে কূটনীতি। প্রতিবছর সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোসহ মধ্যপ্রাচ্যে আম পাঠানো হয় উপহার হিসেবে। তবে এক্ষেত্রে আরও অনেকটাই করার আছে। সেজন্য আমসহ অন্যান্য ফলের রক্ষণাবেক্ষণ এবং এর বহুমুখী ও বহুবিধ ব্যবহারের পথ উন্মুক্ত করতে হবে গবেষণা ও প্রক্রিয়াজাত শিল্পকারখানা স্থাপনের মাধ্যমে।