কোম্পানীগঞ্জে জেলা বিএনপির খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে ইকবাল হাসান টুকু ॥ সরকারের নিরবতায় সিলেটের বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগ বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে

13
বন্যা দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, আকস্মিক বন্যায় সিলেটের মানুষ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিএনপি মানুষের জন্য রাজনীতি করে তাই জনগণের দুঃখ দুর্দশায় জনতার পাশে থাকে। সিলেটের বন্যার্ত মানুষের দুঃখ আমরা অনুভব করতে পারি। তাই দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে আপনাদের পাশে সাধ্যমত সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু এই বন্যায় সরকারের কাউকে জনগণ পাশে পায়নি। তবে সরকারের কেউ কেউ বিয়ের সাজে নৌকা নিয়ে বন্যার্তদের দেখে গেছেন আবার কোন মন্ত্রী ত্রাণ দিয়ে ফটোশেসন শেষে আবার ত্রাণ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এই কঠিন সময়ে সরকারের নিরবতায় সিলেটের বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগ বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই তারা জনগণের নিকট দায়বদ্ধ নয়। বিএনপি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার রাজনীতি করছে। নিজের অধিকার ফিরে পেতে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে।
তিনি বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে কোম্পানীগঞ্জের উপজেলার ইছাকলস ইউনিয়নের পুটামারা বাজারে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরো বলেন, সিলেটের যা উন্নয়ন হয়েছে তা কেবল মরহুম অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের আমলে হয়েছে। আর বর্তমান সরকার উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে। সকল সেক্টরে ভয়াবহ দুর্নীতির কারণে দ্রব্যমূল্য আজ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সয়াবিন তেল এখন ২০০ টাকা লিটার। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও দেশে বন্যা হয়েছে। তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সকল মন্ত্রী এমপিকে এলাকায় বন্যার্তদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যতদিন বন্যা ছিল আমরা জনগণের পাশে ছিলাম কেউ এলাকা ছেড়ে যাইনি। আর আজকে সরকারের মন্ত্রী এমপিদের বন্যার্ত মানুষ খোঁজে পাচ্ছেনা। জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে কোন নির্বাচনে বিএনপি যাবেনা। বিএনপি মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে প্রস্তুত রয়েছে। তাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
বিএনপি নেতা বদরুল ইসলামের পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সূচিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলার সাবেক সহ-সভাপতি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি হাজী সাহাব উদ্দিন, সাবেক আহ্বায়ক হাজী আব্দুল মনাফ, জেলা বিএনপি নেতা এ কে এম তারেক কালাম, ইকবাল আহমদ তপাদার, সদর উপজেলা সভাপতি আবুল কাশেম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক কুহিনুর আহমদ, বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ মোহাম্মদ শায়েস্তা মিয়া চেয়ারম্যান, মাহবুব আলম, এডভোকেট বুরহান উদ্দিন খন্দকার ফরহাদ, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মুমিন, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন মানিক, এডভোকেট সাঈদ আহমদ, বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল, ব্যারিষ্টার রিয়াশাদ আজিম আদনান হক, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, মনিরুল ইসলাম তুরন, ইসলাম উদ্দিন, আকবর হোসেন, হাজী পাবেল, আবুল কালাম, ডা. নুরুল আমীন, শুক্কুর আলী, মনির হোসেন, আজির উদ্দিন, মতিউর রহমান, ফখরুল আলম, আলী আহমদ, আতিকুর রহমান, সামছুল হক, ফয়জুল করিম, সেবুল মিয়া, নান্নু মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন দুদু, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, সহ-সভাপতি আব্দুল করিম জোনাক, রেজাউল ইসলাম সুমন, সহ সভাপতি কামরান আহমদ গিয়াস উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে ইকবাল হোসেন, গিয়াস উদ্দিন, রজন মিয়া, এমদাদুর রহমান ইনজাদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আবু আল হেলাল, ফরিদ বিন বাছিত, আশরাফ আলী, আবু বাক্কার, সোনা মিয়া সোহান, নিজাম উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, জোনায়েদ আহমদ, আসাদুজ্জামান মামুন মিয়া, হযরত আলী, মোজাফফর, আনছার উদ্দিন, মাসুদ রানা, দিলোয়ার হোসেন, ওয়ারিছ তালুকদার, বোরহান উদ্দিন সাদ্দাম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মামুন রাজ্জাক রুমেল, যুবদল নেতা লোকমানুজ্জামান, আমিন উদ্দিন রানা, আব্দুস সোবহান ও ফাহিম আহমদ প্রমুখ।
এদিকে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, সরকার সিলেট বন্যা দুর্গত এলাকায় সাধাররণ মানুষের প্রতি দায়িত্ব পালনে চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বিনা ভোটের সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। নগরীতে বন্যা দুর্গত এলাকায় প্রথমদিন থেকে মহানগর বিএনপি সাধারণ মানুষের মাঝে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি এদেশের গণমানুষের সংগঠন, সকল দুর্যোগে বিএনপি গণমানুষের পাশে রয়েছে। সিলেটে বিএনপি যেভাবে কাজ করছে তা প্রশংসনীয়। তিনি সিলেট মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ত্রান সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথাগুলো বলেন।
সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালি পংকীর এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী’র পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন এর অন্যতম উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন কবির শাহীন, ফরহাদ চৌধুরী শামিম, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জিয়াউল গনি আরেফিন জিল্লুর, এড.হাবিবুর রহামান, সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, সুদীপ রঞ্জুন সেন বাপ্পু, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, এড.রোকসানা বেগম শাহনাজ, আজমল বক্ত চৌধুরী সাদেক, নজীবুর রহমান নজীব, সৈয়দ মইন উদ্দিন সুহেল, সালেহ আহমদ খসরু, আহবায়ক কমিটির সদস্য আমীর হোসেন, নিহার রঞ্জন দে, মোর্শেদ আহমদ মুকুল, নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মহানগর আহবায়ক কমিটির সদস্য শামিম মজুমদার, মতিউল বারী চৌধুরী খুর্শেদ, স্বেচ্ছাসেবক দল মহানগর শাখার আহবায়ক আব্দুল ওয়াহিদ সোহেল, সিলেট মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব শাহনেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক, ২৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক হাজী ফারুক আহমদ, ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক হাজী সাবুল আহমদ, সিলেট জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা কুমকুম, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এ্যাষ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাজী দেলোয়ার হোসেন দিনার, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি