স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীতে পানি কমলেও গ্রামাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। জেলার ১৩টি উপজেলায় এখনও পানিবন্দী অবস্থায় আছে কয়েক লাখ মানুষ। এছাড়া সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জেও পানিবন্দি আছেন লাখো মানুষ। সেসব এলাকায় খাবার ও ত্রাণের জন্য হাহাকার চলছে। কিন্তু এবার সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে অন্যবারের মতো ত্রাণ তৎপরতাও চোখে পড়ছেনা। এ নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশার শেষ নেই।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার শূন্য দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার শূন্য দশমিক ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সারি নদের সারিঘাট পয়েন্টে প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ২ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের জকিগঞ্জে ভাঙা বাঁধ দিয়ে এখনও লোকালয়ে পানি ঢুকছে। জকিগঞ্জে এখনো পানিবন্দি হাজারো মানুষ। একই চিত্র গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানিগঞ্জ ও জৈন্তাপুরে। এইসব এলাকার লাখো মানুষ একনো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বালাগঞ্জেও কুশিয়ারার চাপে পানি বাড়ছে। বালাগঞ্জ পজেলার সকল ইউনিয়নের হাওর এবং গ্রামাঞ্চলে পানিবৃদ্ধিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও গ্রামীণ সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের গালিমপুর ও সিলেট অংশের শেরপুর দিয়ে বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করছে সোমবার দুপুর থেকে।
এদিকে, সুনামগঞ্জের উজানে থাকা উপজেলাগুলোয় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ভাটিতে বাড়ছে পানি। সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কমছে অন্যান্য নদনদীর পানিও। পৌর শহরের বন্যা কবলিত এলাকা থেকে পানি সরছে। তবে জেলার নিম্নাঞ্চলে এখনো পানিবন্দী লাখো মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন অনেকে।