কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। পরে কমিটি দেশে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।
রবিবার (২২ মে) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, সংসদীয় কমিটির আগের বৈঠকে বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সদ্য বিবাহিত দম্পতিদের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে বক্তব্যকালে সংরক্ষিত আসনের এমপি লুৎফুন নেসা খান বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গটি তোলেন। তিনি তার বক্তব্যে বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদের হার অত্যাধিক বেড়ে যাওয়া এবং মাদকের কারণে বহু পরিবার ভেঙে যাওয়ার কথা বলেন। ওয়ার্কার্স পার্টির এই এমপি নবদম্পতিরা যাতে শিশুকাল থেকেই তাদের সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধ তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে, সেটা কর্মসূচিতে আনা যেতে পারে। ওই বৈঠকে সংসদ সদস্য শবনম জাহান বলেন, ‘বর্তমান সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদ খুব সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে, যা খুবই উদ্বেগজনক।’
ওই বৈঠকে বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও কোনও সুপারিশ আসেনি। তবে রবিবারের বৈঠকে এ বিষয়ে সুপারিশ করা হয়।
জানতে চাইলে লুৎফুন নেসা বলেন, ‘বিবাহ বিচ্ছেদ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর জন্য অনেক কারণ রয়েছে। আমি তিনটি কারণের কথা বলবো- ড্রাগস, পরকীয়া এবং আকাশ সাংস্কৃতি।’
তিনি বলেন, ‘সোশাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক ও টিকটক সমাজে চরম অবস্থার সৃষ্টি করেছে। পরকীয়া বেড়ে গেছে। এর জন্য অনেক কারণ রয়েছে। তবে ফেসবুক, টিকটক বড় কারণ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসব সোশাল মাধ্যম নিয়ে মানুষ ব্যস্ত থাকে। স্বামী অন্য নারী, স্ত্রী অন্য পুরুষের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। এভাবে পরকীয়ায় জড়িয়ে যায়। একটা পর্যায়ে নিজের সংসার ভেঙে যায়।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি টিকটক পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। ফেসবুক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ড্রাগসও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এটা পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না। এজন্যই নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছি।’
এই সংসদ সদস্য বিবাহ-বিচ্ছেদ কমানোসহ এসব অস্থিরতা বন্ধে এলাকাভিত্তিক কাউন্সিলর (সাইকোলজিস্ট) নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, ‘অনেক সময় স্বামী-স্ত্রী বা তাদের পরিবারের সদস্যরা সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হন। এক্ষেত্রে সাইকোলজিস্টের শরণাপন্ন হওয়া গেলে তারা বিভিন্ন ধরনের কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে একটা ওয়ে বের করতে পারেন।’
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে দেশে বিবাহ-বিচ্ছেদের সংখ্যা কমানো ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কর্মজীবী দম্পতি নিয়ে এলাকাভিত্তিক প্রকল্প আকারে, বিশ্লেষণধর্মী কাজ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে দেশের কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলগুলো ভাড়ায় পরিচালনার ক্ষেত্রে এলাকাভিত্তিক (পাহাড়ি এলাকা, নদীভাঙন এলাকা, কলকারখানা ও জনসংখ্যা মোতাবেক) নীতিমালা পরিবর্তনক্রমে প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়।
সভাপতি মেহের আফরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ফজিলাতুন নেসা, শবনম জাহান, লুৎফুন নেসা খান, সাহাদারা মান্নান ও কানিজ ফাতেমা আহমেদ অংশগ্রহণ করেন।
কাজিরবাজার ডেস্ক
দেশে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। পরে কমিটি দেশে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।
রবিবার (২২ মে) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, সংসদীয় কমিটির আগের বৈঠকে বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সদ্য বিবাহিত দম্পতিদের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে বক্তব্যকালে সংরক্ষিত আসনের এমপি লুৎফুন নেসা খান বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গটি তোলেন। তিনি তার বক্তব্যে বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদের হার অত্যাধিক বেড়ে যাওয়া এবং মাদকের কারণে বহু পরিবার ভেঙে যাওয়ার কথা বলেন। ওয়ার্কার্স পার্টির এই এমপি নবদম্পতিরা যাতে শিশুকাল থেকেই তাদের সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধ তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে, সেটা কর্মসূচিতে আনা যেতে পারে। ওই বৈঠকে সংসদ সদস্য শবনম জাহান বলেন, ‘বর্তমান সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদ খুব সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে, যা খুবই উদ্বেগজনক।’
ওই বৈঠকে বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও কোনও সুপারিশ আসেনি। তবে রবিবারের বৈঠকে এ বিষয়ে সুপারিশ করা হয়।
জানতে চাইলে লুৎফুন নেসা বলেন, ‘বিবাহ বিচ্ছেদ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর জন্য অনেক কারণ রয়েছে। আমি তিনটি কারণের কথা বলবো- ড্রাগস, পরকীয়া এবং আকাশ সাংস্কৃতি।’
তিনি বলেন, ‘সোশাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক ও টিকটক সমাজে চরম অবস্থার সৃষ্টি করেছে। পরকীয়া বেড়ে গেছে। এর জন্য অনেক কারণ রয়েছে। তবে ফেসবুক, টিকটক বড় কারণ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসব সোশাল মাধ্যম নিয়ে মানুষ ব্যস্ত থাকে। স্বামী অন্য নারী, স্ত্রী অন্য পুরুষের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। এভাবে পরকীয়ায় জড়িয়ে যায়। একটা পর্যায়ে নিজের সংসার ভেঙে যায়।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি টিকটক পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। ফেসবুক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ড্রাগসও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এটা পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না। এজন্যই নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছি।’
এই সংসদ সদস্য বিবাহ-বিচ্ছেদ কমানোসহ এসব অস্থিরতা বন্ধে এলাকাভিত্তিক কাউন্সিলর (সাইকোলজিস্ট) নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, ‘অনেক সময় স্বামী-স্ত্রী বা তাদের পরিবারের সদস্যরা সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হন। এক্ষেত্রে সাইকোলজিস্টের শরণাপন্ন হওয়া গেলে তারা বিভিন্ন ধরনের কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে একটা ওয়ে বের করতে পারেন।’
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে দেশে বিবাহ-বিচ্ছেদের সংখ্যা কমানো ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কর্মজীবী দম্পতি নিয়ে এলাকাভিত্তিক প্রকল্প আকারে, বিশ্লেষণধর্মী কাজ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে দেশের কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলগুলো ভাড়ায় পরিচালনার ক্ষেত্রে এলাকাভিত্তিক (পাহাড়ি এলাকা, নদীভাঙন এলাকা, কলকারখানা ও জনসংখ্যা মোতাবেক) নীতিমালা পরিবর্তনক্রমে প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়।
সভাপতি মেহের আফরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ফজিলাতুন নেসা, শবনম জাহান, লুৎফুন নেসা খান, সাহাদারা মান্নান ও কানিজ ফাতেমা আহমেদ অংশগ্রহণ করেন।