বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের বৃহৎ ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপি জন্মলগ্ন থেকে এদেশের মাটি ও মানুষের অধিকার আদায়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় শান্তিপূর্ণ আদর্শিক সংগ্রাম করে আসছে। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহামনের আদর্শে প্রতিষ্ঠিত দলটি অল্প সময়ের ব্যবধানে এদেশের মানুষের হৃদয়কে জয় করে বার বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘ নয় বছর রাজপথে সংগ্রাম করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্ব দলটিকে অন্যরকম উচ্চতায় নিয়ে যায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে এদেশের মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল বাংলাদেশ জাতয়তাবাদী দল বিএনপি ও এদলের নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ ২০০৮ সালে দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীদের সহায়তায় রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে শুরু হয় সরকারের ষড়যন্ত্র। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থায়ী ও সর্বজনগ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বাতিল করে আওয়ামীলীগ নিজের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে একতরফাভাবে সংবিধান সংশোধন করে। যা এদেশের মানুষ মেনে নিতে পারেনি। বিএনপি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সরকারের এহেন দূরভীসন্ধিমূলক সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে। কিন্তু বর্তমান সরকার এদেশের মানুষের দাবীকে অগ্রাহ্য করে গত ৫ জানুয়ারী ভোটারবিহীন ও বিরোধী দল বিহীন একটি একতরফা নির্বাচন করে, যা দেশী-বিদেশী সকল মহলে অগ্রহণযোগ্য ও প্রত্যাখ্যাত হয়।
বিদেশী প্রভূদের আজ্ঞাবহ অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ ক্ষমতাসীন বর্তমান সরকার এক বছর সরকার পরিচালনা করলেও নির্বাচন বা নির্বাচনী সরকার ব্যবস্থা নিয়ে কোন রকম আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। সরকার ক্রমাগত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে প্রশাসনের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। বিরোধী দল ও মতের মানুষের উপর চালায়- জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন। সরকারের এ নির্যাতন থেকে সমাজের কোন শ্রেণী-পেশার মানুষ রেহাই পাচ্ছে না। সারাদেশে গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে দমন করে শেখ হাসিনা আজ হিটলার-মুসোলিনিকেও হার মানিয়েছে।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চলমান শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীকে সফল করতে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি সিলেটের সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের কর্মসূচী পালন করতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সিলেটের মেট্রোপলিটন পুলিশ আজ দীর্ঘ প্রায় দুইমাস যাবৎ সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির শান্তিপূর্ণ সভা, সমাবেশ, মিছিল কিছুই পালন করতে দিচ্ছে না, যা সম্পূর্ণ বে-আইনী এবং সংবিধান পরিপন্থী।
দিলদার হোসেন সেলিম বলেন, পুুলিশ প্রশাসনের কতিপয় অতিউৎসাহী কর্মকর্তার এ সকল বেআইনী সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রের মুক্তিকামী মানুষ অচিরেই প্রত্যাখ্যান করবে। কতিপয় পুলিশ তাদের পেশাদারিত্ব হারিয়ে দলীয় আনুগত্যের কারণে পুরো পুলিশ প্রশাসনকে বিতর্কিত করছে। যা কোনভাবেই কাম্য নয়। তিনি দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের রাজনৈতিক অধিকার চর্চায় আইনানুগ সহযোগিতা করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আবারও আহ্বান জানান। তিনি চলমান আন্দোলনে সংঘটিত সকল নাশকতার নিন্দা জানান এবং এর নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। পাশাপাশি ২০ দলীয় জোটের যে সকল নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে তা প্রত্যাহার এবং গ্রেফতারকৃত সকল নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন। বিজ্ঞপ্তি