রমজান মাসের আগে থেকেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার চিত্র হতাশাব্যঞ্জক। প্রতি বছরই রোজার আগে মূল্যের ওপর ব্যবসায়ী সংগঠনের শ্যেন দৃষ্টি পড়া এক প্রকার ওপেন সিক্রেট। কিন্তু এবার সব মাত্রা ছাড়িয়ে সাধারণ মানুষের যে দুর্দশা, তা ভোগ্যপণ্যের ওপর এক চরম অশনিসঙ্কেত। পেঁয়াজকে নিয়ে কারসাজি নতুন নয়। প্রতিবছর নতুন পেঁয়াজ আসার আগে থেকেই কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে বাজার অস্থিতিশীল করা কুচক্রী মহলের এক কারসাজি। সমস্যা জানার পরও এর কোন যৌক্তিক সুরাহা না হওয়া শুধু বাজার নয়, জনমনেও তৈরি হয় এক ধরনের বিভ্রান্তি। সব ধরনের নেতিবাচক দায় গিয়ে বর্তায় ভোক্তা শ্রেণীর ওপর। এবারে রমজানের আগে আরও এক প্রকট সমস্যায় পড়ে সাধারণ মানুষ। তেল নিয়ে যে তেলেসমাতির নৈরাজ্য, তা শুধু হতবাকই নয়, পুরো বাজার ব্যবস্থাকে নিয়ে যায় এক অসহনীয় সঙ্কটের মুখে। শুধু দাম বৃদ্ধি নয়, বাজার থেকে তেল উধাও হয়ে যাওয়ার গভীরতম চক্রান্তও কোনভাবেই স্বস্তিদায়ক ছিল না। পরিস্থিতি সামলাতে সরকার টিসিবির পণ্য সরবরাহে উদ্যোগ নিলেও মূল সমস্যা জিইয়ে থাকার দৃশ্য অসহনীয়। টিসিবির লম্বা লাইনের সারিতে অনেককেই খালি হাতে ফিরতে দেখা যাওয়াও এক প্রকার দুর্ভোগ। মাঝপথে দোকান বন্ধ করে দেয়ার দুঃসহ চিত্রও হতভাগ্য ভোক্তাদের সহ্য করতে হয়েছে।
ঈদের ছুটির পর ৫ মে থেকে আবারও তেল সঙ্কটে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক ধাপে ৩৮ টাকা বাড়িয়ে ১৬০ টাকার স্থলে ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করে দেয় ভোজ্যতেলের দাম। যা সাধারণ ভোক্তা শ্রেণীর জন্য এও অগ্নিমূল্য। লাফিয়ে লাফিয়ে তেলের দাম যে মাত্রায় বাড়ানো হচ্ছে সেটা সংঘবদ্ধ গুটিকয়েক ব্যবসায়ীচক্রের মুনাফা অর্জনের ভিন্নমাত্রার অপকৌশল। এখান থেকে বের হতে গেলে ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কৌশলও নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে। এর অন্যথা হলে সরকারও বিপাকে পড়তে পারে দ্রব্যমূল্যকে সহনীয় পর্যায়ে ফেরাতে। তবে ইতোমধ্যে সরকারী ব্যবস্থাপনায় টিসিবির পণ্য সহজলভ্য করতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তেলের দাম লিটারপ্রতি ১১০ টাকাই নির্ধারণ করা হতে পারে। ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম ঈদের জন্য বন্ধ থাকলেও পুনরায় তা চালু করার কথা রয়েছে। এর পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত বাজার পরিস্থিতিকে কঠোর নজরদারিতে আনা অত্যন্ত জরুরী।
রমজান মাসের আগে থেকেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার চিত্র হতাশাব্যঞ্জক। প্রতি বছরই রোজার আগে মূল্যের ওপর ব্যবসায়ী সংগঠনের শ্যেন দৃষ্টি পড়া এক প্রকার ওপেন সিক্রেট। কিন্তু এবার সব মাত্রা ছাড়িয়ে সাধারণ মানুষের যে দুর্দশা, তা ভোগ্যপণ্যের ওপর এক চরম অশনিসঙ্কেত। পেঁয়াজকে নিয়ে কারসাজি নতুন নয়। প্রতিবছর নতুন পেঁয়াজ আসার আগে থেকেই কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে বাজার অস্থিতিশীল করা কুচক্রী মহলের এক কারসাজি। সমস্যা জানার পরও এর কোন যৌক্তিক সুরাহা না হওয়া শুধু বাজার নয়, জনমনেও তৈরি হয় এক ধরনের বিভ্রান্তি। সব ধরনের নেতিবাচক দায় গিয়ে বর্তায় ভোক্তা শ্রেণীর ওপর। এবারে রমজানের আগে আরও এক প্রকট সমস্যায় পড়ে সাধারণ মানুষ। তেল নিয়ে যে তেলেসমাতির নৈরাজ্য, তা শুধু হতবাকই নয়, পুরো বাজার ব্যবস্থাকে নিয়ে যায় এক অসহনীয় সঙ্কটের মুখে। শুধু দাম বৃদ্ধি নয়, বাজার থেকে তেল উধাও হয়ে যাওয়ার গভীরতম চক্রান্তও কোনভাবেই স্বস্তিদায়ক ছিল না। পরিস্থিতি সামলাতে সরকার টিসিবির পণ্য সরবরাহে উদ্যোগ নিলেও মূল সমস্যা জিইয়ে থাকার দৃশ্য অসহনীয়। টিসিবির লম্বা লাইনের সারিতে অনেককেই খালি হাতে ফিরতে দেখা যাওয়াও এক প্রকার দুর্ভোগ। মাঝপথে দোকান বন্ধ করে দেয়ার দুঃসহ চিত্রও হতভাগ্য ভোক্তাদের সহ্য করতে হয়েছে।
ঈদের ছুটির পর ৫ মে থেকে আবারও তেল সঙ্কটে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক ধাপে ৩৮ টাকা বাড়িয়ে ১৬০ টাকার স্থলে ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করে দেয় ভোজ্যতেলের দাম। যা সাধারণ ভোক্তা শ্রেণীর জন্য এও অগ্নিমূল্য। লাফিয়ে লাফিয়ে তেলের দাম যে মাত্রায় বাড়ানো হচ্ছে সেটা সংঘবদ্ধ গুটিকয়েক ব্যবসায়ীচক্রের মুনাফা অর্জনের ভিন্নমাত্রার অপকৌশল। এখান থেকে বের হতে গেলে ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কৌশলও নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে। এর অন্যথা হলে সরকারও বিপাকে পড়তে পারে দ্রব্যমূল্যকে সহনীয় পর্যায়ে ফেরাতে। তবে ইতোমধ্যে সরকারী ব্যবস্থাপনায় টিসিবির পণ্য সহজলভ্য করতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তেলের দাম লিটারপ্রতি ১১০ টাকাই নির্ধারণ করা হতে পারে। ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম ঈদের জন্য বন্ধ থাকলেও পুনরায় তা চালু করার কথা রয়েছে। এর পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত বাজার পরিস্থিতিকে কঠোর নজরদারিতে আনা অত্যন্ত জরুরী।