সরকারের পরিণতি শ্রীলংকার চেয়েও খারাপ হবে -মির্জা ফখরুল

6

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বর্তমান সরকারের পরিণতি শ্রীলংকার চেয়েও খারাপ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, শ্রীলংকার পরিস্থিতি থেকে এই সরকারের শিক্ষা নিয়ে লাভ হবে না। কারণ তারা শিক্ষা নিতে জানে না। তাহলে এই ১০ বছরে শিক্ষা নিতে পারতো। কোনো শিক্ষা নেয়নি। এদের (শ্রীলংকা) চেয়েও খারাপ অবস্থা হবে। শ্রীলংকাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে না সব। দেখেন এরা বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে প্রমাণিত হচ্ছে যে, এই সরকার যে পুরোপুরিভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত থাকে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে তার প্রমাণ হচ্ছে এটা – প্রধানমন্ত্রী কীভাবে বলেন যে ৩শ আসনে ইভিএমএ নির্বাচন হবে। যে দায়িত্বটা হচ্ছে সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, সরকার সচেতনভাবে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা অর্থাৎ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে।
ইভিএম নিয়ে বিএনপির বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইভিএম তো ইলেকশন কমিশনই জবাব দিয়ে দিয়েছে। আমার তো বলার আর কিছু আছে বলে মনে হয় না।
নির্বাচনের বিষয়ে দলের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা খুব স্পষ্টভাবে বলেছি যে, বর্তমান অবৈধ হাসিনা সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। এর মধ্যে এতটুকু ফাঁক-ফোকর কিচ্ছু নাই। এই সরকারকে যেতে হবে, ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করার পরে তবেই শুধুমাত্র একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে, পরিবেশ তৈরি হবে।
আন্দোলন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা তো দেখছেন- আন্দোলন কিন্তু একটা আন্দোলন না। আপনারা কী বুঝেন জানি না। আমরা যারা আন্দোলন করি তারা বুঝি যে, আন্দোলন মানে জনগণকে নিয়ে নাড়াচাড়া করা, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আসা। আমাদের প্রত্যেকটি প্রোগ্রাম আন্দোলনের প্রোগ্রাম। এই যে আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আগামী ১২ ও ১৪ মে কর্মসূচি দিলাম এটা আন্দোনের প্রোগ্রাম। এই যে শাহাদাত বার্ষিকী পালন করব এটাও আন্দোলনের প্রোগ্রাম। সবটাই সবখানে আসতেছে। আপনারা এতো অস্থির হবেন না। আপনারা যেটা দেখতে চান সেটা খুব শিগগিরই দেখতে পারবেন।
সয়াবিনের তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি আসবে কিনা প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আমরা দেড় মাস আন্দোলন করেছি সারা দেশে। আমাদের দফা তো একটা না, দফা অনেকগুলো। আমরা রাজনৈতিক দল, আমাদের রাজনীতির মূল্য লক্ষ্য হচ্ছে দেশের রাজনীতিকে ঠিক করা। এটা ঠিক হলে তেলের দামও ঠিক হয়ে যাবে, সরকার পরিবর্তন হলে তেলের দামও ঠিক পর্যায় আসবে।
এর আগে, দুপুর ১২টায় নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহাসচিবের সভাপতিত্বে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই যৌথ সভায় বিএনপির রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এবিএম মোশাররফ হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, মহানগর বিএনপির আমিনুল ইসলাম, রফিকুল আলম মজনু, যুব দলের সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, মঞ্জরুল ইসলাম মঞ্জু, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাইদ আহমেদ খান, শফিকুল ইসলাম চৌধুরী মিলন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, উলামা দলের নজরুল ইসলাম তালুকদার, সেলিম রেজা, জাসাসের লিয়াকত আলী, জাকির হোসেন রোকন, ছাত্র দলের কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।