স্টাফ রিপোর্টার :
বিরোধীয় জমির ফসল কাটাকে কেন্দ্র করে শহরতলীর খাদিমনগরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মো. নিজাম উদ্দিন (৪৫) নামে এক পল্লী চিকিৎসক খুন হয়েছেন। শনিবার ভোর সোয়া ৫ টার দিকে সাহেবের বাজারের বাজারতল এলাকার সাতগাছি হাওরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১৫/২০ জন। তাদেরকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত নিজাম উদ্দিন এয়ারপোর্ট থানার বাজারতল এলাকার ঘোরামারা গ্রামের মৃত বশির উদ্দিনের পুত্র।
এদিকে, এ ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হচ্ছে- আজিজুর রহমান (৪২), মকবুল মিয়া (৪১), সামছুল আলম (৪৩) ও ছয়ফুল আলম (৪০)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২ একর জমি নিয়ে পল্লী চিকিৎসক নিজাম উদ্দিন ও একই এলাকার নয়ন মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি মীমাংসার জন্য এলাকায় সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিসে দু’পক্ষকেই ওই জমি চাষাবাদে বিরত রাখা হয়। সালিশগণরা নিজেদের মানুষ দিয়ে বিরোধপূর্ণ জমি চাষাবাদের ব্যবস্থা করেন। সিদ্ধান্ত হয়, যে পক্ষ সালিশে জমির মালিকানা পাবে তারা ফসল নিবে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার সেহরির পরে অর্ধ শতাধিক লোক নিয়ে নয়ন মিয়ার পক্ষ বিরোধপূর্ণ জমির ধান কাটতে যান। খবর পেয়ে পল্লী চিকিৎসক আকরাম উদ্দিন ও অপর ভাই পল্লী চিকিৎসক নিজাম উদ্দিন তার আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে ধান কাটতে বাধা দেন। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান নিজাম উদ্দিন। গুরুতর আহত হন আকরাম উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ মাইনুল জাকিরের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জায়গা-জমির বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে মো. নিজাম উদ্দিন নামে এক পল্লী চিকিৎসক নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি বলেন, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় গতকাল নিহতদের পক্ষ থেকে মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও মামলাটি রেকর্ড প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। ওসি আরো বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে ময়না তদন্ত শেষে নিহতের লাশ তার আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ রবিবার নিহতের নামাজের জানাযার হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।