ছড়ারপার-মাছিমপুর এলাকাবাসীর সংঘর্ষে সাবেক মেয়র মরহুম কামরানের বাসায় হামলা-ভাংচুর

5
ছড়ারপার ও মাছিমপুর এলাকাবাসীর সংঘর্ষ চলাকালে রাস্তায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর ছড়ারপার ও মাছিমপুরবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে। ইটপাটকেল নিক্ষেপে কয়েকজন আহত হয়েছেন। হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বাসভবন। বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি শান্ত করতে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান নেয়। তবে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে ছড়ারপার ও মাছিমপুরের ২ যুবকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়া হয়। এর জের ধরে বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে মাছিমপুরের একদল সন্ত্রাসী

সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি।

ছড়ারপারে এসে হামলা চালায়। এ সময় তারা সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বাসার জানালা ও সামনে রাখা গাড়ি ভাঙচুর করে। এছাড়া মাছিমপুরের লোকজনের নিক্ষেপ করা ইটপাটকেলে ছড়ারপাড়ের কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
তবে অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, রাস্তার জায়গা নিয়ে কয়েকদিন ধরে ছড়ারপার ও মাছিমপুরের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এ নিয়ে মঙ্গলবার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। কিন্তু বৈঠকে কোন সমাধান হয়নি। এর জের ধরে বুধবার উভয় পাড়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সংঘর্ষ থামলেও এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
তবে পুলিশ বলছে, ওই এলাকায় ড্রেনের ময়লা পরিস্কার করা হচ্ছে। রাস্তায় ময়লা রাখা নিয়ে দুদিন আগে ছড়ারপার ও মাছিপুরবাসীর মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এরই জের ধরে বুধবার রাতে দু’পাড়ার বাসিন্দাদের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে। কোনো গুলাগুলির ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করছে পুলিশ।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানা পুলিশের ওসি তদন্ত মো. ইয়াসিন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোনো গুলাগুলির ঘটনা ঘটেনি কিংবা গুরুতর আহতের ঘটনা ঘটেনি। ইট-পাটকেল নিক্ষেপে দুপক্ষের ৮ থেকে ১০ জন সামান্য আহত হয়েছেন।
এদিকে, হামলার পর সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলু সাংবাদিকদের বলেন, আমরা তারাবির নামাজে ছিলাম। মারামারির খবর শুনে মসজিদ থেকে বেরিয়েছি- কিন্তু আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের বাসায় হামলা করা হয়েছে। ঘটনাটি খুব নিন্দনীয় ও মর্মান্তিক। তিনি বলেন, হামলাকারীরা পাশের পাড়ার। সকলকেই তো চিনি।