স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট সদর উপজেলার ২ নং হাটখোলা ইউনিয়নের সতর গ্রামস্থ আনোয়ারুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিমের বিরুদ্ধে কোটি কেটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন কওে এ অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দ্বীনি শিক্ষার বিস্তারে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ ১৯৮৬ সালে এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশে বিদেশে অবস্থানরত দানশীল ব্যক্তিদেও সাহায্য সহযোগীতায় শিক্ষকা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠে। এলাকার লোকজন নানা সময় আমাদেরকে মাদ্রাসার আয় ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এ অবস্থায় মাদ্রাসার মুহতামিম আব্দুস সাত্তার, উনার ছেলে মাওলানা ফখরুল ইসলাম, সহ শিক্ষক নাজিম, মাওলানা কুতুব উদ্দিনকে বার বার এই বিষয়ে তাগদা দিলে তারা নানা টালবাহানা করে হিসাব দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তাছাড়া মাদ্রাসার নাজিম কুতুব উদ্দিনের বিরুদ্ধে তার গ্রামের মানুষ জায়গাজমি আত্মসাত, গোরস্তানের জায়গা আত্মসাতসহ নানা অভিযোগ দায়ের করলে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এক সভায় নাজিম মো. কুতুব উদ্দিনকে সর্বসম্মতিতে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। মাদ্রাসার যাবতীয় হিসাব – নিকাশ ১৯৮৬-২০২১ সাল পর্যন্ত প্রদানের জন্য মুহতামিমকে বলা হয়। এতে মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুস সাত্তার গং আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসার এক সভায় আমার এবং মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা করেন।
তিনি বলেন, এরপর আমারা মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যারা বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগী করেছেন এবং মাদ্রাসার বিভিন্ন সম্পত্তি পর্যালোচনা করে দেখি উক্ত প্রতিষ্ঠানের কোটি কোটি টাকা মুহতামিমগংরা আত্মসাত করে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত রয়েছেন।
এসময় তিনি বিভিন্ন ওই মুহতামিমের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার দোকান কোটাসহ মাদ্রাসার বিভিন্ন সম্পত্তি ভোগ দখল ও বিভিন্ন জনের দান-অনুদানসহ কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের হিসাব উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, মাদ্রাসার এসব বিষয়গুলো নিয়ে এলাকার মুরব্বিগণরা মিমাংসার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করলে আমি সম্মতি জানালেও মুহতামিম সাহেব গংরা বৈঠকে বসার সুযোগ দেননি। যার ফলে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।
এ সময় তিনি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান আনোয়ারুল উলুম মাদ্রাসাটি নানা ভাবে দুর্নীতিতে জর্জরিত জানিয়ে এ অশুভ শক্তির হাত থেকে মাদ্রাসাকে রক্ষায় সংশ্লিষ্টদেও সহযোগিতা কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রুকনুজ্জামান চৌধুরী, মাস্টার জমির হোসেন, সুরুজ আলী পীর, সাবেক মেম্বার আফতাব উদ্দিন, আব্দুল মন্নান, তেরা মিয়া ভূলাই, ফারুক আহমদ, রইছ উদ্দিন, মাওলানা তৈমুর রহমান, মাওলানা জালাল উদ্দিন, মাওলানা মুত্তাকিন, জুনাব আলী, দিলবর আহমদ মেম্বার, তাহির মিয়া, মাওলানা মইন উদ্দিন প্রমুখ।