সিলেট জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার আকুণ্ঠ দুর্নীতি ও লুটপাটে নিমজ্জিত। তাদের দুর্নীতির মাশুল গুণতে হচ্ছে দেশের আপামর জনতাকে। বন্দুকের নলের জোরে রাতের ভোটে নির্বাচিত সরকারের জনগণের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই। তাই তারা নিজ দলীয় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ করে দিচ্ছে। মেগা উন্নয়নের নামে তারা জাতির সাথে প্রতারণা করছে। নিত্যপণ্য ক্রমশই মানুষের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এভাবে কোন দেশ চলতে পারে না। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় ছাড়া জনতার মুক্তি নেই। এই বাকশালী সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে জনতার সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাহলে আওয়ামী দুঃশাসনের হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
তিনি বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। সকাল ১০টায় প্রতীকী অনশন কর্মসূচী শুরু হয়ে বেলা ২টায় শেষ হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীকে জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙ্গান বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা নিখোঁজ জননেতা এম ইলিয়াস আলীর সহধর্মিনী তাহসিনা রুশদীর লুনা।
এ সময় তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেন, এই সরকারের কাছে জণগনের জীবনের কোন মূল্য নেই। তারা খুন গুম ও দুর্নীতি করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। তারা আদর্শিক মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে জননেতা এম ইলিয়াস আলী সহ শত শত নেতাকর্মীকে গুম করেছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় ছাড়া মানুষের মুক্তি নেই। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ এই সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত নেতৃত্বের মাধ্যমে ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবীতে ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দুর্বার আন্দোলন গড়ে উঠবে বলে আমার প্রত্যাশা।
জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনশন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার, মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ মঈন উদ্দিন সুহেল, সুদীপ রঞ্জন সেনা বপ্পু, যুবদলের কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগীয় সহ-সভাপতি আনসার উদ্দিন, মহানগর বিএনপি নেতা মাহবুব কাদির শাহী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, ফখরুল ইসলাম ফারুক, জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা ওসমান গনি, আব্দুল লতিফ, হাজী শাহাব উদ্দিন, এটিএম ফখর উদ্দিন চেয়ারম্যান, মহানগর বিএনপি নেতা মোর্শেদ আহমদ মুকুল, জেলা বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন তরফদার, কামরুল হাসান চৌধুরী শাহীন, মঈনুল হক, এডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব, এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, মহানগর বিএনপি নেতা আফজল খান, আমির হোসেন, জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট এম এ তাহের, লোকমান আহমদ, দিদার ইবনে তাহের লস্কর, মনিরুল ইসলাম তুরণ, আজিজুর রহমান, কোহিনুর আহমদ, হাজী শরীফুল হক, আলী আকবর ফখর, আব্দুর রহমান, শওকত আলী বাবুল, এডভোকেট কামাল হোসেন, আকবর আলী, নুরুল মুত্তাকিন বাদশা, মিজানুর রহমান ডিপজল, জালাল খান, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এডভোকেট মোমিনুর রহমান মুমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট সাঈদ আহমদ, মহানগর জাসাসের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আহমদ রানু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব দেওয়ান জাকির হোসেন খান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আজিজুল হোসেন আজিজ, সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজিম উদ্দিন পান্না, আনোয়ার হোসেন খান, জেলা শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুকে এলাহী, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট নজরুল ইসলাম, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিক নিগার সুলতানা ডেইজী, বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন, মদরিছ আলী, আলাউদ্দিন রিপন, মামুনুর রশীদ সুহেল, এম এ রহিম, আক্তার হোসেন রাজু, এহসানুল করিম মিশু, আখতার হোসেন, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, মাহবুব আলম, রায়হানুল হক, মাসুক মিয়া, কবির আহমদ, আঙ্গুর আলম, ফরিদ আহমদ, হাজী পাবেল, আল মামুন, বাবুল আহমদ, শফিক আলী, তাজ উদ্দিন আহমদ, ওসমান খান, জয়নাল খান, জাকির আহমদ, বাছিতুর রহমান বাছিত, জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল্লাহ শফি সাহেদ, সাইফুল ইসলাম ছুটন, জুবের আহমদ, রেজাউল হক চৌধুরী, জসিম উদ্দিন, তোফায়েল আহমদ, আজহার আলী অনিক, হারুনুর রশীদ, মাসুম আহমদ, খায়রুল ইসলাম দোয়েল, মো: জাকারিয়া, ফয়েজ আহমদ, জয়নাল আবেদীন রাহেল, আইনুল হক, ফয়জুর রহমান, তৌফিকুজ্জামান, ফয়জুল ইসলাম ফয়েজ, আব্দুল লতিফ, নাসিম আহমদ, ফয়সল আহমদ ও শামীম আহমদ প্রমুখ। কর্মসূচির শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন বিএনপি নেতা তৈয়বুর রহমান। বিজ্ঞপ্তি