সারাদেশে হরতালে লাঠিচার্জ ও হামলার প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ

7

চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা সোমবারের আধাবেলা হরতালে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের লাঠিচার্জ এবং আওয়ামী, ছাত্র লীগের সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে সিলেটে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলা শাখা এই সমাবেশ করে।
মানববন্ধন চলাকালীন সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলার সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাছানের সভাপতিত্বে ও বাসদ জেলা সদস্য প্রণব পালের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা আহ্বায়ক উজ্জ্বল রায়, বাসদ জেলা সমন্বয়ক আবু জাফর, সিপিবি নেতা এডভোকেট এ.কে সিহাব, ছাত্র ফ্রন্ট নগরের সভাপতি সঞ্জয় কান্ত দাস, ছাত্র ইউনিয়ন আহ্বায়ক মনীষা ওয়াহিদ, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার অর্থ সম্পাদক সন্দীপ দাস প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই হরতাল ছিল জান বাঁচানোর হরতাল। মানুষ বিভিন্ন ভাবে আমাদের এই হরতালে স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে হরতাল সফল করেছেন। তাই আমরা সিলেটবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
বক্তারা বলেন, চাল-ডাল-পিঁয়াজ-সিলিন্ডার গ্যাসসহ অতি জরুরি খাদ্যদ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের যা দাম বেড়েছে; দেশে তার তুলনায় অনেক বেশি দাম বাড়ানো হয়েছে। আর গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানো হচ্ছে পুরোপুরি খামখেয়ালিভাবে। এসব খাতের চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট আর অব্যবস্থাপনার দায় চাপানো হচ্ছে ভোক্তাদের ওপর। আসলে সরকার ও অসৎ ব্যবসায়ীরা এক মহাসিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। কথিত উন্নয়নের কথা বলে নিজেদের চুরি, দুর্নীতি ও লুটপাটকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। এভাবে সঙ্কীর্ণ স্বার্থে দেশ ও জনগণকে তারা অনিশ্চিত অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। এ অবস্থায় আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া এ থেকে মুক্তি নেই।
দেশের বিভিন্ন স্থানে হরতালে পুলিশি হামলা ও সরকারি দলের হামলার নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘সরকার গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করছে। হরতালের মতো একটি গণতান্ত্রিক কর্মসূচি সারাদেশে বাম জোটের নেতাকর্মীদের ওপর ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা করেছে। কিন্তু সিলেটসহ সারা দেশেই বাম নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ ভাবে হরতাল পালন করেছন।
নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার যদি মনে করে হামলা করে, মামল দিয়ে, আটক করে আমাদের আন্দোলন বন্ধ করে দিবে তাহলে তারা ভুল করছে। যতদিন পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে আসছে না, দেশে গণতন্ত্র ফিরছে না বামজোট রাস্তা থাকবে। বিজ্ঞপ্তি