ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিভাগীয় কমিশনার ॥ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুফল পাচ্ছে

8
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইসলামের প্রচার-প্রসারে ব ঙ্গবন্ধুর অবদান শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ইমামদের মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে মানবকল্যাণে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম মুসলিম কেন্দ্রিক হলেও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ এর সুফল পাচ্ছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ইসলামের প্রচার-প্রসারে বঙ্গবন্ধুর অবদান শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
১৯৭৫ সালের ২২ মার্চ এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দিনটি উদযাপন উপলক্ষে সারাদেশের ন্যায় সিলেটে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে খতমে কুরআন, র‌্যালি, আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আবু ছিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপ-পরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
সৈয়দ ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা শামিমুল হাসান। বক্তব্য দেন কৃষিবিদ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, মাওলানা আবিদ হাসান ও মাওলানা নওফেল আহমদ। বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের ধর্মীয় প্রশিক্ষক মাওলানা জুবাইর আল আজহারী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় সরকার ইমামদেরকে নানা প্রশিক্ষণ দিয়ে জনমানুষের সেবার সুযোগ করে দিচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মক্তব ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে শিশুদের নৈতিকতার বুনিয়াদ গড়ে দিচ্ছে। সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টির বিরুদ্ধে ইমামদের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করছে।
সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের পরিচালক মো. আবু ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, করোনার কঠিন সময়ে সন্তানরা যখন বাবার লাশ ফেলে দৌড়ে পালাচ্ছিল, সেই সময়ে লাশ দাফন-কাফন করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ইমামরা। তারা দুর্যোগকালে মানুষের মধ্যে নৈতিকতা ও সাহস সঞ্চার করেছেন।
স্বাগত বক্তব্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপ-পরিচালক মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অবদান হচ্ছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা। ইসলামের প্রচার-প্রসার ও গবেষণা পরিচালনার জন্য তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রসারে গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন দ্বীনি কার্যক্রমের মাধ্যমে ইসলামি মূল্যবোধ সম্পন্ন সমাজ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি