আতিকুর রহমান মাহমুদ ছাতক থেকে :
সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক যাত্রী নিহত ও ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। সোমবার রাত ৮ টার দিকে মাহতাবপুর মৎস্য আড়ৎ এলাকায় এ দুঘর্টনাটি ঘটে। নিহত ও আহতরা সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রী ছিলেন।
নিহত মাওলানা জুয়েল আহমদ (৪৫) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থানার প্রতাবপুর গ্রামের ওহিদ মিয়ার পুত্র এবং আহতরা হচ্ছেন- বিশ্বনাথ থানার ইশবপুর গ্রামের আনছার আলীর পুত্র সিএনজি অটোরিক্সা চালক কাওছার মিয়া (২৫), জালালাবাদ থানার হায়দরপুর গ্রামের নুরুল মিয়া, দোয়ারাবাজার থানার নরসিংপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র আব্দুল খালিক মানিক, একই এলাকার সিরাজ উদ্দিনের পুত্র রহমত আলী এবং নগরীর সুবিদবাজার এলাকার বনকলাপাড়ার মৃত ময়না মিয়ার পুত্র শায়েস্তা মিয়া (৬০)। আহতদেরকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে সিএনজি অটোরিকশা চালকের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার রাত ৮ টার দিকে ছাতক থেকে ছেড়ে আসা অনটেষ্ট সিএনজি অটোরিক্সা ৫ জন যাত্রী নিয়ে সিলেট শহরে আসছিল। ঘটনাস্থলে পৌছামাত্র সুনামগঞ্জগামী (সিলেট-জ-১১-০৭২১) নং যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে। এ সময় সিএনজি অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে চালকসহ ৬ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের স্থানীয় লোকজন ও হাইওয়ে পুলিশ উদ্ধার করে দ্রুত সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে মাওলানা জুয়েল আহমদকে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন এবং অপর আহত ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ঘাতক বাস চালক পালিয়ে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ রুনু মিয়া দুঘর্টনাকবলিত সিএনজি অটোরিক্সা ও যাত্রীবাহী বাস জব্দ করে হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান।